Image may contain: 3 people, people smiling, selfie, closeup and indoor

গত কিছুদিন আগে ফেসবুকে kriss Krishna নামক উগ্র হিন্দুটির নেতৃত্বাধীন (তার মূল নাম-লিটন কৃষ্ণ দাস) বাংলাদেশে সক্রিয় উগ্র হিন্দু বাহিনীর সদস্যদের নাম, মোবাইল ও এলাকা সহ তালিকা (http://bit.ly/2XKnobo )। তালিকাটি ছিল মূলত উগ্র হিন্দু পুরুষদের নিয়ে গঠিত। এছাড়াও এদেশে উগ্র হিন্দু মহিলাদের আলাদা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন গড়ে উঠছে, বিশেষ করে চট্টগ্রামে রথের মিছিলকে কেন্দ্র করে গেরুয়া সন্ত্রাসবাদী আবহ উগ্র মহিলাদের দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বোরখা পরিধান করে বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে, যেন বিভিন্ন ইসলামবিদ্বেষী দেশের ন্যায় সিকিউরিটির দোহাই দিয়ে বোরখাকে নিষিদ্ধ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের দেশেই মুসলমানদের একঘরে করে ফেলা যায়।
দৈনিক মানবজমিনে এবছরের এপ্রিলের শেষে প্রকাশিত একটি সংবাদে বলা হয় “শ্রীমঙ্গল শহরের রাধানাথ সিনেমা হলের মার্কেটে এক ভাড়াটিয়াকে ১০-১৫ জন নারীর একটি দল উচ্ছেদ করেছে। ওই সময় ভাড়াটিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সমস্ত মালামাল বাইরে ফেলে তালা লাগিয়েছে। দোকানের ম্যানেজার ফয়সল আহমেদ রনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে ১০-১৫ জনের একদল মেয়ে দোকানের পার্শ্ববর্তী রাধানাথ সিনেমা হলে যায়। কিছুক্ষণ পর তারা বোরকা পরে এসে ফিল্মি স্টাইলে দোকানে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাকেসহ দোকানের এক কর্মচারীকে মারধর করে ক্যাশ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর দোকানের মালামাল তছনছ করে বাইরে ছুড়ে ফেলে দোকানে তালা লাগিয়ে তারা চম্পট দেয়। রাতেই মুহিত তফাদার বাদী হয়ে শহরের উত্তরা দেব চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে আরো ১০-১৫ জন অজ্ঞাত মহিলার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।” (http://bit.ly/2LFydUV )
স্থানীয় আরেকটি নিউজ পোর্টালে বলা হয়, দোকানের মালিক পক্ষের অভিযোগ মার্কেটের মালিকের মেয়ে এডভোকেট উত্তরা দেব চৌধুরীর নেতৃত্বে ২০/২৫ জন নারী এর মধ্যে কিছু সংখ্যক মহিলা রাধানাথ সিনেমা হল থেকে বোরকা পড়ে ও ১০/১২ জন পুরুষ একসঙ্গে এ হামলা চালিয়ে মালামাল লোটপাট ও বাহিরে ফেলে তান্ডবলীলা চালায়। (http://bit.ly/2XsRznw )
উল্লেখ্য, খবরে প্রকাশিত এই উত্তরা দেব চৌধুরী, যে কিনা ২০/২৫ জন মহিলাদের (যারা ছিল হিন্দু) বোরকা পরিয়ে নিয়ে হামলা করেছে, ক্যাশবাক্স থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করেছে; তাকে সহযোগিতা করেছে এই kriss Krishna তথা লিটন কৃষ্ণ দাসের উগ্র হিন্দু বাহিনী, যাদেরকে খবরে ১০/১২ জন পুরুষ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ঐ মহিলা দলবেঁধে সন্ত্রাসীপনা করতে গিয়ে নিজেও কিছুটা আহত হয়েছে এবং হাসপাতালে বেডে থাকাবস্থায় লিটন কৃষ্ণ দাস তার সাথে সেলফি ফেসবুকে প্রকাশ করেছে (ছবি দ্রষ্টব্য)। ঐ হিন্দু ডাইনি বুড়িটি তার ফেসবুক একাউন্টে গত ২৯শে এপ্রিলে লিখেছে “আজ আমার হাসপাতালে থাকাবস্থায় ঢাকা এবং মৌলভীবাজারের চরম হিন্দুত্তবাদি যেসব ছেলেরা হাসপাতালে ডিউটি দেয়া সহ আমাকে সার্বক্ষণিক সময় দিচ্ছে তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ (http://bit.ly/2NSIYX1 )।
উল্লেখ্য, এই হিন্দু ডাইনি বুড়িটি বহু আগে থেকেই ফেসবুকে ইসলামবিদ্বেষী মন্তব্য ও পোস্ট দিতে অভ্যস্ত। উদাহরণস্বরূপঃ
১/ আমার মনে হয় ছোট বেলা থেকেই সন্তানদেরকে ইসলামভীতি ধরিয়ে দেয়া উচিত। আর মা-বাবা তথা পরিবারের সবাই এক সাথে বসে ইসলামের হাত থেকে উদ্ধারের বিষয়ে আলাপ করা উচিত, যা আমরা করি । http://goo.gl/wU1QT2 , http://
archive.is/udHBa
২/ ইসলামের হাতে পরাজয় রোধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে/সঙ্ঘ গঠন করে প্রতিরোধ করি চলরে সবাই এক সাথে চল http://goo.gl/
mJYSkE”
তার ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্টে উল্লেখ রয়েছে-
“আজ NHS এর Women Wings - এর ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হল। সভাপতি উত্তরা চৌধুরী,সহ সভাপতি তপতি ভট্ট দাস, সম্পাদক রাই কিশোরী চৌধুরী, সহ-সম্পাদক জয়শ্রী শর্মা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ভারতী হালদার। নারীর শক্তি বৃদ্ধিকল্পে কর্মমূখী শিক্ষা দিয়ে কর্মসংস্থান, যোগাভ্যাস ও মার্শাল আর্ট শিক্ষা দিয়ে শারীরিক ও মানসিক শক্তিবৃদ্ধি, কাজ করার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে গঠিত এই প্রতিষ্ঠান।” ( http://bit.ly/2LORunh )
অর্থাৎ এই উত্তরা চৌধুরী ভারতের দুর্গাবাহিনীর ন্যায় এদেশেও হিন্দু মহিলাদের সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছে, যেখানে তাদের মার্শাল আর্ট ও যোগব্যায়াম শিক্ষা দিয়ে মুসলিমবিরোধী নাশকতার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এই যে উগ্র হিন্দুরা বোরখা নিষিদ্ধ করার জন্য নিজেরাই বোরখা পরে সন্ত্রাস করছে, এর পেছনে রয়েছে তাদের সুদূরপ্রসারী ভয়ঙ্কর লক্ষ্যউদ্দেশ্য। বোরখা নিষিদ্ধ করাকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের উপর কি ধরণের নির্যাতন নেমে আসে, তা শ্রীলঙ্কাকে দেখলেই বোঝা যায়। বোরখা নিষিদ্ধের কয়েকদিন পরেই সেদেশের মন্ত্রিসভার সমস্ত মুসলিম সদস্য পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। মারওয়া এল শেরবিনি হত্যাকাণ্ডের কাহিনী জানেন পাঠকেরা? তাকে এক খ্রিস্টান তার হিজাবের জন্য হেনস্থা করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আদালতে মামলা চলাকালীন সময়েই অন্তঃসত্ত্বা শেরবিনির উপর ছুরি হাতে হামলে পরে ঘাতক উগ্র খ্রিস্টান, তার স্বামী তাকে বাঁচাতে গেলে উল্টো তাকেই গুলি করে জার্মান পুলিশ।
এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল বোরখা-বিদ্বেষকে কেন্দ্র করে। সেই পরিবেশ বাংলাদেশেও সৃষ্টি করতে মরিয়া উগ্র হিন্দু গোষ্ঠীগুলো, সেজন্যই হিন্দু মহিলারা বোরখা পরে হামলা করছে। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, এই বোরখা পরে হামলার বুদ্ধি বাইরের অপশক্তি তথা ইহুদীদের থেকে এসেছে, এটি মোটেই সাধারণ বিষয় নয়। নুসরাতের ঘটনাটিও তাদেরই ষড়যন্ত্র বলে প্রতীয়মান হয়।
বাঙালি মুসলমান কি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে? চাকরি নিয়ে? ঘরসংসার নিয়ে? ক্যারিয়ার নিয়ে? যে উচ্চশিক্ষিত যুবক চাকরিতে বের হয়েছে, তার জায়গা ভারতীয় আর হিন্দুরা দখল করছে। যেই অশিক্ষিত জেলে মাছ ধরে সংসার চালায়, তার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে ভারতীয় জেলেদের অবাধে মাছ চুরির সুবিধা দেয়ার জন্য। বাঙালি মুসলমান চিন্তা করছে, সব হিন্দু খারাপ না, সব হিন্দু খারাপ না, ওদিকে তার অস্তিত্বের বিরুদ্ধে হিন্দুরা যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। হিন্দুরা এদেশের মুসলমানদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরিয়ে দিতে চাইছে, তার শ্বাস নেয়ার অক্সিজেন বন্ধ করে দিতে চাইছে, তাকে একঘরে করে তিলে তিলে ধ্বংস করে দিতে চাইছে।

Post a Comment

 
Top