আরে ভাই আপনি একদিন হিন্দুদের জন্য স্যাক্রিফাইস করতে পারেন না, এত সাম্প্রদায়িক হলে কি চলে...
সম্প্রতি এদেশে রথসন্ত্রাসকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম ও ঢাকা শহরকে স্থবির করে দেয়াকে কেন্দ্র করে জনমনে যে ক্ষোভ তৈরী হচ্ছে, তাকে প্রশমিত করতে ফেসবুকে হিন্দুদের পা-চাটা গোষ্ঠী উপরের ন্যায় ইনিয়ে-বিনিয়ে নানারকম স্ট্যাটাস প্রসব করে যাচ্ছে। ওদিকে হিন্দুরা তাদের মিছিলের নেত্রীকে নিয়ে লিখেছে-
//জাগো হিন্দু পরিষদ দেবী পরিষদ এর আরেক যোদ্ধা Achinpurar Ajob Meye যাকে সবাই আন্তরিকতা সহিত সর্দার ডাকু রানী বলে ডাকতো ওনার ছবি দেখে মনে হচ্ছে স্বয়ং মা দূর্গা এসে উপস্থিত আমাদের রথযাত্রায়। //
এমনি এমনি তারা তাদের মিছিলের নেত্রীকে ডাকাত সর্দারের সাথে তুলনা করেছে? এর অর্থ কী এটাই দাঁড়ায় না যে, কোনোপ্রকার অছাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্য থেকে নয়, বরং গুজরাটের ন্যায় দাঙ্গার উদ্দেশ্য নিয়েই তারা প্রতি বছর মাঠে নামছে? উল্লেখ্য, আমাদের দেশে রক্তমাখা হিংস্র দুর্গাকে অছাম্প্রদায়িকতার প্রতীক বলে গণ্য করা হয়। কিন্তু একইসাথে ‘ডাকু রানী’ এবং ‘স্বয়ং মা দুর্গা’ এই দুই বিশেষণের ব্যবহার দেখে বোঝা যায়, এরা একে অপরের সমার্থক। উল্লেখ্য, দুর্গা কালী এসব দেবীদের পূজা করত হিন্দুদের ডাকাতশ্রেণীর লোকেরা। ঠগী নামক ডাকাতদল পথচারীদের ধরে এনে কালীর কাছে বলি দিত।
আসলে চট্টগ্রামের হিন্দুরা কী চায়, তা নিয়ে আমি কয়েকবছর আগে লিখেছিলাম। চট্টগ্রামের হিন্দুপ্রেমিক মুসলমানদের স্মরণ করিয়ে দিতে তা ফের পোস্ট করা হল-
১) ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙার পরে চট্টগ্রামের মুসলমানদের প্রতিক্রিয়ার ফলে চট্টগ্রামের হিন্দু নেতারা নতুন করে MASTER PLAN তৈরীর পরিকল্পনা হাতে নেয়। তখন চট্টগ্রাম শহরে মুসলমানদের বিক্ষোভ মিছিল,হিন্দুদের সাথে সামান্য মারামারি ঘটে। তখন চট্টগ্রামের অন্যতম প্রভাবশালী হিন্দু নেতা ছিলো বিপ্লবী বিনোদ বিহারী, আজকের দিনের রানা দাশগুপ্তের মতো। তারা পরিকল্পনা করে যে চট্টগ্রাম শহরের সদরঘাট-নিউমার্কেট-পাথরঘাটা-আন্দরকিল্লা-দিদার মার্কেট-চকবাজার ওলি খা-পাঁচলাইশ-মির্জাপুল-মুরাদপুর সুন্নিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত রোড তারা দখলে রাখবে...
২) ১৯৯২ সালের পর থেকে তারা ওই রোডের আশেপাশের এলাকাতে কোন মুসলমানের বাসা-বাড়ি,দোকান বা ব্যবসা-বাণিজ্য খালি হলে হিন্দুরা তা নিজেরা নিয়ে নিতে শুরু করে। বর্তমানে হিন্দুরা তাদের কাজে প্রায় ৬০% সফল হয়েছে, নিকট অতীতে কোতোয়ালী থানাধীন এলাকাতে অনেক মুসলমান ছিলো,বর্তমানে তা ক্রমশ কমে গিয়েছে।
৩) হিন্দুরা চাচ্ছে যে, চট্টগ্রাম শহরের কোতোয়ালী থানায় তারা সংখ্যাগুরু হবে। ফলে চট্টগ্রাম শহরের আদালত,চউক (চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ভবন, সিসিক ভবন তাদের আওতাধীন থাকবে। শহরের সবচেয়ে প্রভাবশালী থানা কোতোয়ালী তাদের আওতায় থাকলে জনপ্রতিনিধি, ওসি, ওয়ার্ড কমিশনারও তাদের হবে। ফলে তাদের রামরাজত্ব কায়েমে বেশ সুবিধা হবে। সদরঘাট টু মুরাদপুর রোড তাদের দখলে থাকলে চট্টগ্রাম শহর মাঝখানে কার্যত ভাগ হয়ে যাবে ফলে দাঙ্গা লাগলে সুবিধা হবে হিন্দুদের। কেননা মুসলমানরা দুভাগ হয়ে যাবে আর হিন্দুরা মাঝখানে থাকার সুবাদে রোড BLOCK করে দিবে ও তারা দুদিকের মুসলমানদের প্রতি হামলা চালাতে ও প্রতিরোধ করতে পারবে কৌশলগত অবস্থানের কারণে।
৪) চট্টগ্রামের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলো হলো সদরঘাট-আইস ফ্যাক্টরীর আংশিক, অভয়মিত্র ঘাট, পাথরঘাটা, নন্দনকানন, হাজারীগলি, টেরীবাজারের ১টা পাড়া, রাজাপুকুর লেন, আন্দরকিল্লা সাবেরিয়া, দিদার মার্কেট, দেওয়ানবাজার, রহমতগঞ্জ, জামালখান, মোমিন রোড, আসকার দিঘীর পাড়, চকবাজার কাঁচা বাজারের পাশে হিন্দু পাড়া, ডিসি রোডে কিছু হিন্দু বসতি। চট্টগ্রাম শহরের ৯০% বেশী হিন্দু ওই বিস্তীর্ণ AREA তে বাস করে,আনুমানিক ৫ লক্ষের মতো হিন্দুর বাস। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শহরের অন্য প্রান্তের বিচ্ছিন্ন হিন্দুরাও কোতোয়ালী থানায় চলে আসছে।
৫) কোতোয়ালী থানায় দুজন হিন্দু ওয়ার্ড কমিশনার আছে -আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডে জহরলাল হাজারী (মহিউদ্দীন গ্রুপ) যার হিন্দু ক্যাডার বাহিনী আছে, সে প্যানেল মেয়র। জামালখান ওয়ার্ডে শৈবাল দাশ সুমন (নাছির গ্রুপ),তারও হিন্দু ক্যাডার বাহিনী আছে। দেওয়ানবাজার, পাথরঘাটা, ফিরিঙ্গীবাজারে প্রভাবশালী দোভাষ পরিবার। হাসান মাহমুদ হাসনীর (সে প্যানেল মেয়র) কারণে হিন্দু মেজরিটি থাকার পরেও হিন্দু ওয়ার্ড কমিশনারের স্বপ্ন তাদের পূরন হয়নি। কোতোয়ালীতে মুসলমানদের জায়গায় ডেভেলপার কোম্পানির ফ্ল্যাটও কিনছে সব হিন্দুরা। ২০১২ সালে কোতোয়ালী থানায় হিন্দু ওসি সুদীপ কুমার যোগ দেওয়ার পর পাথরঘাটার হিন্দুরা মসজিদে হামলাও চালিয়েছিলো। ২০১৩ সালে হিন্দুরা দিদার মার্কেটে রাতে মসজিদে হামলা চালিয়েছিলো।
৬) চট্টগ্রামের হিন্দুদের কলকাতায় আলাদা পাড়া রয়েছে এবং তা নিয়ে তাদের গর্ববোধ আছে। প্রতিদিন শহর থেকে অনেক হিন্দু শ্যামলী বাসযোগে (হিন্দু মালিকানাধীন) ভারতে যায়। চট্টগ্রামের হিন্দু প্রধান জায়গায় “ভারত তীর্থ ভ্রমণ” নোটিশ টাঙানো দেখা যায়। বাংলাদেশের হিন্দুদের LEADERSHIP যে চট্টগ্রামের হিন্দুদের হাতে তা তাদের কলকাতা তথা ভারতের সাথে নাড়ির টান দেখে বোঝা যায়। রানা দাশগুপ্তের বাসা পড়েছে দিদার মার্কেটে জামায়াত অফিসের পিছনে।
৭) চট্টগ্রামের হিন্দুদের হাতে পিস্তল, কিরিচ, ছুরি, ধামা সহ নানারকমের মারণাস্ত্রের কোষাগার আছে। রহমতগঞ্জে জেএম সেন হল এলাকাতে তাদের গোপন অস্ত্রাগার আছে। উগ্র হিন্দুত্ববাদী সূর্যসেনের সহযোগী বিনোদ বিহারী চৌধুরীর নিজ বাসাও ছিল রহমতগঞ্জে। ২০১৩-২০১৪ সালে জুমাবারে মাঝে মাঝে নামাজের আগে-পরে আন্দরকিল্লা মসজিদের আশে-পাশে পুলিশের পাশাপাশি হিন্দুদের প্রকাশ্যে ছুরি-ধামা নিয়ে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। কেন্দ্রীয় অস্ত্রাগার বা সুবিধামতো জায়গায় অস্ত্র থাকার কারণেই অস্ত্র নিয়ে তাড়াতাড়ি শো-ডাউন করতে পেরেছে উক্ত এলাকার হিন্দু ক্যাডাররা।
চট্টগ্রামের মুসলমানরা খরগোশের মতো ঘুমিয়ে থাকলে হিন্দুরা দখল করে নিবে কোতোয়ালী, আন্দরকিল্লা সহ চট্টগ্রামের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, এরপর চট্টগ্রামের মুসলমানদের কোণঠাসা করে জবাই করবে তারা। ইতিমধ্যেই হিন্দুরা তাদের পরিকল্পনায় অনেকদূর অগ্রসর হয়ে গিয়েছে, সুতরাং সময় থাকতেই নিজ জন্মভূমি বাঁচাতে চট্টলার মুসলমানরা জেগে উঠুন।

Post a Comment

 
Top