রংপুরে ৬ জন মুসলমান হত্যা নিয়ে এদেশের হিন্দুরা যারপরনাই উত্তেজিত, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের। গত রাতে এক ঘণ্টার ব্যবধানে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের “সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ“ এর সাধারণ সম্পাদক ও আহবায়ক ‘কার্তিক কৃষ্ণ রায়’ (ফোন নম্বর ০১৭৭০৮৩৭০৩৮) এ প্রসঙ্গে অস্ত্রের ছবিসহ দুটি স্ট্যাটাস দিয়েছে। একটি স্ট্যাটাসে লিখেছে-
-
সব গ্রামেই ছোট বড় কালী মন্দির, শীতলা মন্দির, মনসা মন্দির আছে। মন্দিরে খড়গও আছে, কিন্তু দুঃখের বিষয় খড়গগুলো জং ধরা, কোনটা মরিচাধরা, কোনটাতে আবার ঢাঁর নেই নাই। কোন কোন খড়গের ব্যবহার নাই ৫০/১০০ বছর ধরে। ফলে খড়গগুলো হিন্দুদের অভিশাপ দিচ্ছে রক্তের স্বাদ না পেয়ে। মন্দিরের খড়গগুলোকে রক্ত না পান করানোর জন্য, মরিচা ধরানোর জন্য, খড়গ নষ্ট করার জন্য হিন্দুদের পাপ হয়েছে। সেই পাপের ফল আজকের রামু, অভয়নগর, সাঁথিয়া, নাসিরনগর, পাগলাপীরের মত ঘটনা ঘটেছে, ঘটবে।
-
প্রমান লিংক (http://archive.is/2oZzz )
-
আরেকটি স্ট্যাটাসের বক্তব্যও অনুরূপ- রক্ত দেখার অভ্যাস করতে হবে হিন্দুদের, নয়ত আগামী ১০০ বছরের মধ্যে হিন্দুদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। দেবতার সন্তুষ্টির জন্য নয়, হিন্দুদের সাহস অর্জনের জন্য হলেও বলি প্রথার প্রয়োজন আছে।
-
প্রমান লিংক (http://archive.is/BIZ9w )
-
নাহ, এসব নিয়ে আমি আর এদেশের সরকার-প্রশাসনের কাছে বিচার চাইব না। কারণ ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, রংপুরের রাজপথে শুয়ে মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরানো আহত এক যুবকের পাশে দাঁড়িয়ে যখন এক কিশোর কাঁদোকাঁদো স্বরে পুলিশের নিকট অনুযোগ করছিল, আপনারা আমাদের এতগুলো লোককে গুলি করলেন কেন? আপনারা কি মুসলমান না? তখন পুলিশ তাকে ধমক দিয়েছিল “চোপ”।
-
প্রমান লিংক ( https://goo.gl/eb8ihM )
-
সুতরাং আমরা বরং পুলিশ বাহিনীকে আহবান করব, মুসলমানদের রক্ত দিয়ে গোসল করতে ইচ্ছুক এসব উগ্র হিন্দুত্ববাদী যুবকদের পুলিশে নিয়োগ দিতে। কারণ “মুসলমান দমন আর হিন্দুর পালন” আওয়ামী পুলিশবাহিনীর মূলনীতি কিন্তু এটাই। বিদেশী কুকুর দিয়ে যদি ‘ডগ স্কোয়াড’ গঠিত হতে পারে, সেক্ষেত্রে আমেরিকা-ইসরায়েলের দালাল এসব হিন্দুদেরকে দিয়ে আওয়ামী পুলিশ বাহিনীতে নতুন ‘বলি স্কোয়াড’ গঠন করাটাও সময়ের দাবী বটে!

Post a Comment

 
Top