আড়ং-ব্র্যাক-ফজলে হাসান আবেদ
পিযুষ ওরফে পিশাচ রাশীদুল বারীর ইসলামবিদ্বেষী কবিতা আবৃত্তি করেছিল, যে রাশীদুল বারী হচ্ছে ইউনূসের মূল চামচাদের একজন
ইমতিয়াজ মাহমুদ-পাহাড়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি
ড. কামাল হোসেন
প্রয়াত নারীবাদী নাসরিন জাহান
এদের মধ্যে একটি প্রধান মিল হচ্ছে, এরা প্রত্যেকেই মার্কিন ডেমোক্রেট ব্লকের এদেশীয় এজেন্ট। এদের প্রত্যেকের সমর্থনেই এক কথিত মুসলিম-দরদী ফেসবুকার একের পর এক স্ট্যাটাস দিয়েছে।
তারপরও তার অবস্থান নিয়ে ধোয়াশা রয়েছে, কিন্তু আড়ং নিয়ে তার স্ট্যাটাস অনেকটাই তার পরিচয় প্রকাশ করেছে। সে বলতে পারত আড়ংকে বন্ধ করাটা সরকারের ষড়যন্ত্র বা এরকম কিছু, কারণ ছাত্রলীগের প্রধান নেতারা ঘটনার পরপরই ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষে স্ট্যাটাস দিয়েছিল।
কিন্তু সে তা না করে এমনভাবে লিখল, যেন সে পার্সোনালি বিষয়টি দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। যখন কাউকে তার দুর্বল জায়গায় আঘাত করা হয়, তখন সে কিছুক্ষণের জন্য হলেও হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়। আড়ংকে জরিমানা করা ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে উক্ত ফেসবুকারের স্ট্যাটাস দেখলে সেটাই মনে হয়।
সে লিখেছে ঐ ম্যাজিস্ট্রেটের বাচ্চা মেয়ে যেহেতু তাকে জিজ্ঞেস করেছে, আড়ংকে জরিমানা করে ভালো কাজ করেও কেন তার বাবা বদলি হলো। সেহেতু সে কেন বললো না, প্রহসনের নির্বাচনের সময় তার বাবা কি করেছিল? রীতিমতো হাস্যকর উদ্ভট বক্তব্য। ভোক্তা অধিকারের ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পণ্যে ভেজাল ধরা, তার মেয়ে কেন তাকে ‘প্রহসনের নির্বাচন’ নিয়ে প্রশ্ন করতে যাবে?
নাস্তিক ব্লগার ও ডয়চে ভেল মিডিয়ার এক্সপ্রেশনের সাথে এর মিল রয়েছে। ডয়চে ভেলেতে কোনোরকম রাখঢাক ছাড়াই শিরোনাম করা হয়েছে ‘আড়ংকে বাঁচাতে হবে’। কারণ তারা প্রত্যেকেই আড়ংয়ের বিরুদ্ধে একশনকে ব্যক্তিগত আঘাত হিসেবেই গ্রহণ করেছে এবং কিছু সময়ের জন্য হলেও হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়েছে।
সবকিছু মিলিয়েই উক্ত ফেসবুকারের রাজনৈতিক অবস্থানের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। অনেকে তার বাহ্যিক রূপ দেখে দাবি করে, সে নাকি নাস্তিকবিরোধী। কিন্তু ইমতিয়াজ মাহমুদদের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তা মিথ্যা প্রতিপন্ন করে।
তাছাড়া ডেমোক্রেট ব্লকের বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে ফেমিনিজম, নাস্তিকতা, এলজিবিটি প্রভৃতি। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাথায় কাপড় দেয়ার পর উক্ত ফেসবুকার আহবান জানিয়েছিল, আপনারা মুসলমানরাও নাস্তিকদের প্রতি ঘৃণা ত্যাগ করুন।
মূলত সে যা করছে, তা হলো মুসলমানদেরকে আস্তে আস্তে নাস্তিকতায় অভ্যস্ত করা, স্লো পয়জনিংয়ের মতো। সে কতিপয় মাদ্রাসার ছাত্র, ইসলামিস্ট এদেরকে ইউরোপীয় চিত্রকলা, দর্শন এসবে অভ্যস্ত করাচ্ছে। তার সান্নিধ্যে যারা রয়েছে, তারা যে নিজেরা তাদের অজান্তেই যে কখন নাস্তিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল, কিংবা নিজেই নাস্তিক হয়ে যাচ্ছে তা টেরই পাচ্ছে না।
একটু আগে দেখলাম সে তার ভক্তদের নিয়ে ট্রল করছে, যে আনু মিয়া নাকি তাকে একদা র এর এজেন্ট বলেছিল। তার ভক্তরাও তার সাথে হাসিঠাট্টায় যোগ দিয়ে বাস্তবতা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। রমনা কালী মন্দিরের প্রধান দয়াময় বিশ্বাস অনেক আগেই বলেছিল, সে-ই সবচেয়ে বড় হিন্দু। আর তার এই যে হিন্দুবিরোধী বা নাস্তিকবিরোধী মুখোশ, সেটাই তার কাজ সম্পাদনের সবচেয়ে বড় শক্তি।

Post a Comment

 
Top