এরকম ঘটনা সচরাচর ঘটে না, এরকম সুযোগও সচরাচর আসে না। কখনো কখনো প্রতিপক্ষের এমন স্পর্শকাতর জায়গায় আঘাত করা হয়ে যায়, যার ফলে প্রতিপক্ষের মুখোশধারী এজেন্ট, যে কিনা মুসলিম-দরদীর মুখোশ পরে হাজারো ভক্ত-অনুসারী জোগাড় করে বসে আছে, সে-ও বাধ্য হয় খোলস ছেড়ে বেরিয়ে চিৎকার করে নিজের অবস্থান জানান দিতে। আড়ংকে জরিমানা করার বিষয়টি ঠিক সেরকম, যাকে বলা যেতে পারে ইসলামবিদ্বেষী পক্ষের লোকজন চিহ্নিত করার এসিড টেস্ট।
আড়ংয়ের ঘটনাটি কোনো বিচ্ছিন্ন সাধারণ ঘটনা নয়। একাধারে ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক দুই প্রধান নেতা, গোলাম রাব্বানী ও এস এম জাকির, উভয়ই আড়ংয়ের বিপক্ষে ও ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষে স্ট্যাটাস দিয়েছে। আর আড়ংয়ের পক্ষে গিয়েছে তাবৎ আমেরিকাপন্থী-সিআইএ এজেন্ট নাস্তিককুল। ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মহিউদ্দীন, এ নিয়ে তার পোর্টালে বিরাট আর্টিকেল নামিয়েছে। আরিফ বেগতিক, ইমতিয়াজ মাহমুদ এ নিয়ে বিরাট ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছে। তাদের সবারই এক কথা, আড়ংয়ের নাকি যেরকম খুশি সেরকম দাম নির্ধারণের অধিকার রয়েছে!
এখানে বিষয়টি হচ্ছে, আড়ং হচ্ছে ব্র্যাক তথা ফজলে হাসান আবেদের প্রতিষ্ঠান, যে ইউনূসের মতোই আমেরিকার দালাল ও আওয়ামী সরকার বিরোধী। আড়ংয়ের অবস্থাও গ্রামীণ ব্যাংকের মতো করা হবে, বিষয়টি আমেরিকাপন্থী নাস্তিকেরা আঁচ করতে পেরেছে বলেই তারা আড়ংকে বাঁচাতে কাছা বেঁধে নেমেছে। এই যে আড়ংয়ের কাপড়ে যে এতো দাম রাখা হয় উৎপাদন খরচের তুলনায়, কিংবা ক্ষুদ্রঋণে যে ৪০ শতাংশ সুদ রাখা হয়, খোঁজ নিলে দেখা যাবে এর একটি বড় অংশই এদেশে ইসলামবিরোধী কার্যক্রমে ব্যয় হয়। যার ফলে এর সুবিধাভোগীরা সকলেই তারস্বরে হুক্কাহুয়া শুরু করেছে আড়ংয়ের পক্ষে, যাদের মধ্যে রয়েছে ভূ-রাজনীতি সম্পর্কে অজ্ঞ কথিত ইসলামিস্টদের বড় ওস্তাদ পিনাকীও।
বলেছিলাম, এরকম সুযোগ সচরাচর আসে না। পিনাকীর কার্যক্রম দেখে শুরুতেই বুঝেছিলাম, সে আমেরিকার পাক্কা এজেন্ট ও নাস্তিকগোষ্ঠীর উচ্চপর্যায়ের সদস্য, কিন্তু বেয়াকুফ আমজনতাকে বোঝানোর জন্য চাই এসিড টেস্টের রেজাল্ট। ইশারায় বোঝার মতো সমঝদার তারা নয়। আড়ংয়ের ঘটনা ছাড়াও পিনাকী কিছুদিন আগেই পিযুষ ওরফে পিশাচ বন্দোপাধ্যায়ের পক্ষে স্ট্যাটাস দিয়েছে, ইমতিয়াজ মাহমুদকে গ্রেফতারের বিপক্ষে স্ট্যাটাস দিয়েছে। এই দুটো স্ট্যাটাস প্লাস আড়ংকে জরিমানা করা ম্যাজিস্ট্রেটের বিপক্ষে স্ট্যাটাস, পিনাকীর আমেরিকাপন্থী অবস্থান নির্ণয়ের জন্য যথেষ্ট।
উদাহরণস্বরূপ, এই পিশাচ বন্দোপাধ্যায়কে কিন্তু আওয়ামী সরকার এফডিসির এমডি বানিয়েছিল, সেখান থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। কারণ সে একটি ইসলামবিদ্বেষী কবিতা আবৃত্তি করেছিল, যেখানে সে বারবার এভাবে আহবান জানিয়েছিল “মুহম্মদ ইউনূসের মতো তুর্যধ্বনি দিয়ে ওঠো, হে বাংলা মা, বন্দে মাতরম।”
আর ইমতিয়াজ মাহমুদের কথা তো বলাই বাহুল্য। চাকমা রাজাকার ত্রিদিব রায়ের ফ্যামিলি মেম্বারদের সে ‘ইওর হাইনেস’ বলে গদগদ সম্বোধন করে, পাহাড়ে বসবাসকারী বাঙালি মুসলমানদের উদ্দেশ্যে প্রতিনিয়ত মিথ্যা তথ্যসম্বলিত চরম ঘৃণাসূচক স্ট্যাটাস সে দেয়। এরকম একটি মিথ্যা স্ট্যাটাসের জেরেই তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল, আর পিনাকিও তার পক্ষে কীবোর্ড ধরেছে।
পিনাকীর সাথে নাস্তিকদের ঝগড়া দেখে বিভ্রান্ত হবেন না, এটা স্বামী-স্ত্রীর পাতানো ঝগড়ার মতো। উদাহরণস্বরূপ, এই ইমতিয়াজ মাহমুদ অতীতে পিনাকিকে ‘পতিত ব্রাহ্মণ’ সম্বোধন করে স্ট্যাটাস দিয়েছিল। (http://bit.ly/2wFnNMn) অথচ সেই ইমতিয়াজ মাহমুদ এখন পিনাকির স্ট্যাটাসে এসে তা শেয়ার করার অনুমতি চায়, আর পিনাকিও তাকে কমেন্টে সম্বোধন করে ‘বস’ বলে। (http://bit.ly/2Z9Ph99)
মুসলমানদের সমস্যা হলো, তারা দুনিয়াবী সব ক্ষেত্রে ম্যাচিউরিটি দেখানোর চেষ্টা করলেও কাফির-মুশরিকদের সম্মুখে শিশুর মতো আলাভোলা হয়ে যায়, কোনোপ্রকার শর্ত ছাড়াই তাদের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে। যে কারণে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সম্ভব হয়, ৫০ জনের অধিক মুসল্লী হত্যার পরও কেবল মাথায় ঘোমটা দিয়ে মুসলমানদের ননীর মতো গলিয়ে ফেলাটা। পিনাকিও সেই সুযোগটি নিচ্ছে। অথচ আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে বারংবার সাবধান করেছেন, কাফির-মুশরিকরা তোমার বন্ধু নয়, বন্ধু নয়, বন্ধু নয়।

Post a Comment

 
Top