এদেশের হিন্দু নেতারা যখন কোন ইসলামবিরোধী উল্টাপাল্টা কথা বলে ধরা খায়, তখন তাদের ঠিক এই অবস্থাই হয়। অনেকেরই মনে পড়বে যে, কয়েকমাস আগেই নিউইয়র্কে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভায় বাংলাদেশে গরু জবাই নিষিদ্ধ করার আহবান জানানো হয়েছিল। খবরটি তখন মানবজমিন পত্রিকাতে এসেছিল, তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল এ নিয়ে। গরু জবাই নিষিদ্ধের বক্তব্য দেয়া ভিডিওটাও ফেসবুকে প্রচারিত হয়েছিল। (https://goo.gl/FDiCrh)

তাতে হিন্দুরা ভয় পেয়ে গোটা বিষয়টি অস্বীকার করে বসে, দাবি করে গরু জবাই নিষিদ্ধের বক্তব্য দানকারী শ্যামল চক্রবর্তী তাদের কেউ নয়। (http://goo.gl/DG6Uxe) ঠিক একই ঘটনা ঘটছে রানা দাসগুপ্ত আর পিযুষের ক্ষেত্রে। যখন ভারতীয় মিডিয়া প্রকাশ করলো যে, তারা মোদির নিকট আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করার জন্য, তখনই এ নিয়ে প্রতিবাদ করে বেশকিছু বুদ্ধিজীবী। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহিদুজ্জামান ও আসিফ নজরুল এ নিয়ে বক্তব্য দেয়। পরিস্থিতি প্রতিকূলে যাচ্ছে আভাস পেয়েই রানা দাসগুপ্ত সাথে সাথে দাবি করে, সে ঐরকম কোন বক্তব্য দেয়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আসা খবর মিথ্যা।

এই নিয়ে এখন পর্যন্ত হিন্দু আর নাস্তিকেরা এই বলে আকুতি-মিনতি করে যাচ্ছে যে, “রানা দাসগুপ্ত তো বলেছে যে, সে মোদির কাছে সাহায্য চায়নি। হিন্দুরা খুব নিরীহ, তারা ভাজা মাছটাও উল্টে খেতে জানে না। প্লিজ আপনারা কেউ ভুল বুঝবেন না।” আজকে কমিউনিস্ট ভেকধারী উগ্র হিন্দু অঞ্জন রায়ের একটি লেখা চোখে পড়লো। “প্লিজ, সবার দিকে আঙুল তুলবেন না” শিরোনামের লেখায় সে আকুতি জানিয়েছে যে, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নাকি সব হিন্দুদের প্রতিনিধিত্ব করে না! তাই তাদের বক্তব্যকে পুঁজি করে হিন্দুদের দিকে আঙ্গুল তুলবেন না প্লীজ! (http://goo.gl/UUuhF3)

আসলে হিন্দুরা জাতিগতভাবেই অসৎ, ভীরু ও দেশদ্রোহী। এই ভীরু ও নীচ হিন্দুরা সবসময় তক্কে তক্কে থাকে, কখন মুসলিমবিরোধী কিছু করা যায়। কিন্তু ধরা খেলেই সাথে সাথে নিজের সংগঠনের লোক তো বটেই, এমনকি পিতৃপরিচয় পর্যন্ত অস্বীকার করে বসে এরা। তবে অঞ্জন রায়ের ভেজা বেড়াল সেজে লাভ নেই, কারণ আরেক উগ্র হিন্দু সংগঠন হিন্দু মহাজোটের নেতা গোবিন্দ প্রামাণিক টকশোতে বলেছে যে, রানা দাসগুপ্ত মোদির কাছে বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করার দাবি জানিয়ে ভুল করেনি।(https://goo.gl/Q7sZy0)

এখন মোদির কাছে সাহায্য চাওয়ার কারণে যদি ঐক্য পরিষদ হিন্দুদের প্রতিনিধিত্ব না করে, হিন্দু মহাজোটও না করে, তাহলে হিন্দুদের প্রতিনিধিত্বটা করে কে? অঞ্জন রায়ের বাপ? আসলে এগুলো মুসলমানদের বিভ্রান্ত করতে হিন্দুদের মিথ্যাচার ছাড়া কিছু নয়। এই হিন্দু মহাজোটের অতীত ইতিহাসেও এরকম ঘটনা রয়েছে। এরা গত ২০১৩ সালে ‘গণশ্রাদ্ধ’ নামে একটি অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিল রমনা কালীমন্দিরে, যেখানে মুক্তিযুদ্ধকে তারা করতে চেয়েছিল সাম্প্রদায়িকীকরণ। তখন ওলামা লীগ নেতা মুজিবুর রহমান চিশতী তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। (http://goo.gl/ryhyg4)

মামলার পরপরই এই হিন্দু মহাজোট ওরফে ইঁদুর মহাজোটের নেতারা ন্যাজ গুটিয়ে সবকিছু অস্বীকার করে বসে যে, তাদের সাথে গণশ্রাদ্ধের কোন সম্পর্ক নেই। (http://goo.gl/VZx2om)
আসলে এদেশের মুসলমানদের যা দরকার, তা হলো একটু প্রতিবাদ। হিন্দুরা তো ভীরু ও কাপুরুষ, তারা কখনোই মাথাচাড়া দিতে পারবে না যদি মুসলমানরা একটু সচেতন হয়। ঐক্য পরিষদ হোক আর ইঁদুর জোট হোক, মুসলমানরা একটু প্রতিবাদ করলেই এই কাপুরুষ হিন্দুগুলো নিজেদের থুথু চেটে খেতে বাধ্য।

Post a Comment

 
Top