//২০ থেকে ৩০শে জুনের মধ্যে তোকে কুপিয়ে হত্যা করা হবে।তোর মোনে যা চায়- তা খেয়ে নে। তোকে ধরে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারবো। তোর মা কালীর দোহাই- তুই ভারতে চলে যা। মনে রাখিস আমার বাবা গরু চুরি করতো। আমি বিধর্মী ধর্মগুরুদের জান চুরি করি। কিশোরগঞ্জের নয়াপাড়ার গরুচোর মরছব আলী আমার বাপ ছিল। বর্তমানে আমার ঠিকানা নেই। কখনো গাজীপুর, কখনো কিশোরগঞ্জ আবার কখনো ধানমন্ডি।//

পাঠকেরা শুনে অবাক হবেন, এই হাস্যকর চিঠিটাই হলো রামকৃষ্ণ মিশনে দেয়া সেই ‘বিখ্যাত’ মৃত্যু ‍হুমকি। যাকে কেন্দ্র করে এখন নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত ‘চিন্তিত’ হয়ে পড়ছে, আর এদেশের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ক্ষমতাসীন সরকারও তার প্যান্ট হলুদ করে ফেলছে।

অথচ চিঠির ভাষা দেখলেই বোঝা যায়, এটা কোন গোমূত্র খাওয়া মোটামাথার হিন্দুর কাজ ছাড়া কিছুই নয়। কেউ কি চিঠিতে বলবে, আমার বাপ গরুচোর? কি হাস্যকর! আপনারা অনলাইনে খেয়াল করলেই দেখবেন যে, ভারতের হিন্দুরা বিভিন্ন পেজে বাংলাদেশীদের হেয় করতে ব্যবহার করে ‘গরুচোর’ শব্দটি। মুসলমানদের হেয় করতে ‘চাপাতির কোপ’ টার্মটি ব্যবহার করে নাস্তিকেরা। আর মধ্যপ্রাচ্যের আইএস তার চিঠিতে কী লিখবে ‘মা কালীর দোহাই তুই ভারতে চলে যা’? বদমায়েশির একটা সীমা থাকা উচিত।

রামকৃষ্ণ মিশনের যে কথিত ধর্মগরুকে এই হাস্যকর চিঠিটা দেয়া হয়েছে, তাকে রিমান্ডে নিয়ে পাছায় দু’একটা বাড়ি দিলেই বের হবে বাংলাদেশে আইএস এর ঘাঁটি কোথায়? কিন্তু সেই সাহস কী সরকারের আছে? কয়েকদিন আগে যে চট্টগ্রামে এসআই বাবুলের স্ত্রী মিতুর হত্যাকাণ্ড হলো, তাতে যে ‘র’ আর হিন্দুরা জড়িত সেটা তো জনগণের কাছে ফাঁসই হয়ে গেলো, যখন খুনিদের বাঁচাতে পাশের কালীমন্দিরের সিসিটিভির ফুটেজ ডিলিট করে দিলো মন্দির সংশ্লিষ্টরা। (লিঙ্ক: https://goo.gl/k1BwWz)

অথচ মিতু হত্যার কোন কুলকিনারা সরকার এখনো নাকি করতে পারেনি! করতে পারবেই বা কিভাবে, কারণ হিন্দুরা হলো এদেশের সরকারের ‘একিলিস হিল’। গ্রীক কাব্যে একিলিস একজন বিরাট বীর, কিন্তু তার একটি দুর্বলতা ছিলো তার পায়ের গোড়ালি, যাকে ইংরেজিতে বলে ‘হিল’। সেই গোড়ালিতে তীরের আঘাতে সে মারা গিয়েছিল। বর্তমান সরকারও একিলিসের মতোই বিরাট বীরপুরুষ, কিন্তু তার বিশেষ দুর্বল দিকটি হলো হিন্দু সম্প্রদায়। সরকার জামাত সাইজ করতে পারে, নাস্তিক সাইজ করতে পারে, হেফাজত সাইজ করতে পারে, বাট একটা হিন্দু মুচির গায়ে টোকা দেয়ার সাধ্যও তার নাই।
আম্লীগের শত্রুরাও বুঝে গিয়েছে তার এই দুর্বলতা। আগে বিএনপি তার বক্তব্য দিতো সালাউদ্দীনকে দিয়ে, তাকে সরকার ভারতে নিয়ে সাইজ করে দিলো। এরপর আসলো দুদু, তাকেও সাইজ করে দিলো। মির্জা ফখরুল হোক আর রিজভী, তাদেরও জেলে ঢুকিয়ে দিলো সাইজ করে।

এরপর বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে কে আসলো? এরপর আসলো গয়েশ্বর। এখন তো আম্লীগ কিছু করতে পারে না, কারণ গয়েশ্বর হলো হিন্দু। হিন্দুদের প্রতি এই অতিরিক্ত দুর্বল দিকটি ব্যবহার করেই অদূর ভবিষ্যতে সরকারের পতন ঘটাবে সরকারের শত্রু সিআইএ-মোসাদ, যেভাবে শত্রুরা একিলিসকে মেরেছিল তার দুর্বল গোড়ালিতে তীরের আঘাত করে।

Post a Comment

 
Top