ব্রিটিশ আমলে এদেশে মসলিন শিল্প ধ্বংস করা হয়েছিল ব্রিটেনে তৈরী করা কাপড়ের বাজার সৃষ্টির উদ্দেশ্যে। অথচ মসলিন ছিলো সবচেয়ে রাজকীয় কাপড়, ব্রিটেনের কাপড় তার সামনে কিছুই ছিলো না। কৃত্রিমভাবে সংকট সৃষ্টি করে মসলিনকে ধ্বংস করেছিল ব্রিটিশরা, ঠিক সেভাবেই কৃত্রিমভাবে ভারতীয় কাপড়ের বাজার সৃষ্টি করে বাংলাদেশের তাঁতশিল্পকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আমি কয়েক বছর আগেও শুনতাম, ভারতের শাড়িকাপড় নাকি ভালো হয় না। এমনকি আমার পরিচিত যেসব হিন্দু ভারতে মাইগ্রেট করেছে, তাদের পরিবারের মহিলারাও বাংলাদেশ থেকে শাড়ি কিনে নিয়ে যেত পড়ার জন্য। সেই ভারতীয় শাড়ির কারণেই কিনা আজ বাপদাদার পেশা ছাড়ছে মিরপুরের একসময়কার অদ্বিতীয় বেনারসী শিল্পের কারিগরেরা, যেভাবে একদা মসলিনের কারিগরেরা নিজেদের পেশা ছেড়েছিল।

একদা ব্রিটেনের নিন্মমানের কাপড়ের বাজার করে দেয়ার জন্য মসলিন শিল্পকে ধ্বংস করা হয়েছিল, আর আজ ভারতীয় নিন্মমানের কাপড়ের বাজার করে দেয়ার জন্য জামদানি-বেনারসী শিল্পকে ধ্বংস করা হচ্ছে। মিরপুরের তাঁতী সংগঠনগুলোর উচিত মানববন্ধন করা, প্রেস কনফারেন্স করা। বেনারসী তাঁতিরা সারাদেশের মানুষের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিক, যে কিভাবে শত বছর পর আজ এদেশে মসলিন কারিগরদের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটছে।

খবরের সূত্র: http://goo.gl/4MLUXE

Post a Comment

 
Top