সৈয়দ আশরাফ কয়েকদিন আগে মন্তব্য করেছিল- ইনুকে মন্ত্রীত্ব দেয়ার প্রায়শ্চিত্ত আওয়ামী লীগকে ‘আজীবন’ করতে হবে। (http://goo.gl/r0jdYX)

তারই প্রতিফলন দেখা গেল গতকাল গুলশান হামলায় ইনুর অধীনস্থ মিডিয়ার ভূমিকায়। এই হামলাকে কেন্দ্র করে এদেশের মিডিয়াগুলো বিশ্বব্যাপী প্রচার করলো, হামলাকারীরা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হামলা করেছে। এই প্রচারের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করতে চায় যে, এদেশে আইএস আছে।

তবে সবচেয়ে ভয়াবহ উস্কানীমূলক খবরটি প্রচার করছে চিহ্নিত সিআইএপন্থী মাহফুজ আনামের ডেইলি স্টার পত্রিকাটি। সে তার খবরের শিরোনাম করেছে-

Those who could recite Quran were spared (http://goo.gl/rOUw3m)

অর্খাৎ গুলশান রেস্টুরেন্টে বন্দীদের মধ্যে যারা কুরআন শরীফ থেকে পাঠ করতে পেরেছে, তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এই তীব্র উস্কানীমূলক খবরটি ইংরেজি ভাষায় বিশ্বব্যাপী প্রচার করে এই ডেইলি স্টার পত্রিকাটি এদেশের সরকারকে আরো বেকায়দায় ফেলতে চায়, প্রমাণ করতে চায় কথিত আইএস-ই হামলা করেছে। এই মাহফুজ আনামই গত ফেব্রুয়ারী মাসে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর ছাড়ার দায়ে একের পর এক মামলা খেয়েছিল। (http://goo.gl/WyQsWK)

এই সব কিছুর পেছনে মূল কলকাঠি নাড়ছে ঘরের শত্রু বিভীষণ মিডিয়ামন্ত্রী ইনু। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গুলশান হামলায় বেসরকারী টিভি চ্যানেলগুলোর বিতর্কিত ভূমিকা থাকার কারণে তাদের লাইসেন্স বাতিলের কথা উল্লেখ করেছেন। (http://goo.gl/c63Ccr) এটি একটি ভালো উদ্যোগ। কিন্তু এই উদ্যোগ সম্পূর্ণ হবে না, যদি মূল নাটের গুরু ইনুর মন্ত্রীত্ব বাতিল না করা হয়। সরকার যদি তার মূল শত্রু সিআইএ-মোসাদ ও তাদের দোসর উগ্র হিন্দুদের দিকে নজর না দিয়ে ফের দাড়িটুপি নিয়ে তাদের চুলকানি শুরু করে, তাহলে তা তাদের জন্য আত্মঘাতী হবে।

বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুর রক্তের দাগ কিন্তু এখনো শুকায়নি। আমাদের স্পষ্ট মনে আছে, শুরুর দিকে কোনরকম তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই সারাদেশে ঢালাওভাবে মুসলমানদের গ্রেফতার করলো সরকার। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে বাবুল আক্তারের পরকীয়াসহ নানা মুখরোচক কাহিনী। গুলশান হামলাতেও কোন ‍মুসলমান জড়িত নেই, যারা জড়িত তারা সকলেই এদেশকে দখল করতে চাওয়া সিআইএ-মোসাদ ও র এর এজেন্ট।

#বাংলাদেশে_কোন_আইএস_নেই
#No_IS_in_Bangladesh

Post a Comment

 
Top