রোহিঙ্গাদের ফাঁসাতে হিন্দুদের আগুন, যা মনে করিয়ে দেয় গুজরাট দাঙ্গার স্মৃতি।

<p dir="ltr"><br> আগুন হিন্দুদের অতীব পছন্দের বস্তু। আগুনকে<br> তারা দেবতা মানে, আগুনে পুড়ে মরাটাকে তারা<br> ভাগ্যের বিষয় মনে করে। গুজরাট দাঙ্গার সূত্রপাত<br> হয়েছিল ট্রেনে আগুন লাগিয়ে তার দোষ<br> মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেয়ার মাধ্যমে। ঠিক<br> সেভাবেই মিয়ানমারের হিন্দুরাও নিজ বাড়িতে আগুন<br> লাগিয়ে সাজানো নাটক তৈরী করার চেষ্টা করেছিল,<br> কিন্তু বিবিসির সাংবাদিকের চোখে তারা ধরা পড়ে যায়।<br> সুতরাং যারা এদেশের কথিত হিন্দু নির্যাতন আর মন্দির<br> ভাঙার কল্পকাহিনী নিয়ে হিন্দুদের প্রতি সহানুভূতি<br> দেখাতে যায়, তারা চিন্তা করুক তারা কতোটা বোকা।<br> এদেশে এ পর্যন্ত যতোগুলো মন্দির ভাঙার<br> কাহিনী শোনা গিয়েছে, সবগুলো হিন্দুদের<br> নিজস্ব সাজানো নাটক ছাড়া আর কিছুই নয়। হিন্দুদের<br> মিথ্যাচার ও মুসলিম বিদ্বেষের হাতিয়ার হলো তাদের<br> মন্দির ও মূর্তিসমূহ।<br> আফসোসের বিষয়, এতো ভয়াবহ বিষয়টি বিবিসি,<br> প্রথম আলো, ইত্তেফাকের মত সেক্যুলার<br> সংবাদমাধ্যমগুলো কোনরকম রাখঢাক ছাড়া প্রচার<br> করলেও মুসলমানদের মধ্যে এ নিয়ে বিন্দুমাত্র<br> প্রতিক্রিয়া দেখলাম না। প্রথম আলো কিংবা বিবিসির<br> ফেসবুকে হিন্দুদের বিরুদ্ধে একটি<br> কমেন্টও ‍খুঁজে পাওয়া গেল না।<br> বিবিসি: https://goo.gl/XcSXMP<br> ইত্তেফাক: https://goo.gl/3U7KYp<br> প্রথম আলো: https://goo.gl/bh5zga<br> প্রথম আলোর মতো পত্রিকাও তার ফেসবুক<br> পেজে লিঙ্কটি শেয়ার করতে গিয়ে লিখেছে<br> “'সাংবাদিকদের কাছে এই ছবি দুটি দিয়ে বলা হয়,<br> রোহিঙ্গারা নিজেরাই নিজেদের বাড়িতে আগুন<br> দিচ্ছে। কিন্তু এই নারী ও পুরুষকে (বাঁয়ের দুজন)<br> রোহিঙ্গাদের হাতে নির্যাতিত হয়ে স্কুলে আশ্রয়<br> নেওয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন হিসেবেও<br> উপস্থাপন করা হয় সাংবাদিকদের সামনে...”<br> এতো স্পষ্ট বক্তব্য থাকার পরও উপরের<br> ফেসবুক লিঙ্কগুলোতে হিন্দুদের বিরুদ্ধে<br> কোন বক্তব্য পাওয়াটা দুষ্কর। পানির মাছও যেন<br> বাঙালি মুসলমানদের রক্তের শীতলতা দেখে<br> লজ্জা পাবে। অথচ এর ধারেকাছে যদি কিছু নামধারী<br> মুসলমানদের দ্বারা সংঘটিত হতো, প্রতি<br> সেকেন্ডে হিন্দুরা ইসলাম ও নবীজী সল্লাল্লাহু<br> আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবমাননা করে শত শত<br> কমেন্ট করত। কিন্তু ‍মুসলমানরা অথর্ব, মুসলমানরা<br> অছাম্প্রদায়িক। তাই এরা চুপ করে রয়েছে, বোবা<br> হয়ে রয়েছে। আর এই নিষ্ঠুর দুনিয়ায় অছাম্প্রদায়িক<br> বোবা জাতির মার খাওয়া ছাড়া আর কোন উপায়ই নেই।</p>

রোহিঙ্গাদের ফাঁসাতে হিন্দুদের আগুন, যা মনে করিয়ে দেয় গুজরাট দাঙ্গার স্মৃতি।

আগুন হিন্দুদের অতীব পছন্দের বস্তু। আগুনকে তারা দেবতা মানে, আগুনে পুড়ে মরাটাকে তারা ভাগ্যের বিষয় মনে করে। গুজরাট দাঙ্গার সূত্রপাত হয়েছিল ...

Read more »

মাদ্রাসায় বাদ্যযন্ত্র দিতে তোড়জোর, ওদিকে জেলখাটা হিন্দু সন্ত্রাসীদের তত্ত্বাবধানে দেশের আনাচে-কানাচে গজিয়ে উঠছে একের পর এক ‘গীতা স্কুল’

<div> <span style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #1c1e21; display: inline !important; float: none; font-family: inherit; font-size: 14px; font-variant: normal; letter-spacing: normal; orphans: 2; text-align: left; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; word-spacing: 0px;"><img alt="Image may contain: 1 person, text" aria-busy="false" class="spotlight" src="https://scontent-amt2-1.xx.fbcdn.net/v/t1.0-9/67554093_1239270609566786_1643587957300396032_n.png?_nc_cat=110&_nc_oc=AQktjjfDCFq0of9dVynFKEa-QlTgUq3xGCmYrb_OOOVVLNaCul0h7Tu7oKqhiQ8KZgM&_nc_ht=scontent-amt2-1.xx&oh=a1f645db37b7dd3b8dca7d19e139a863&oe=5DDD0C49" style="-webkit-text-stroke-width: 0px; border-bottom-color: currentColor; border-bottom-style: none; border-bottom-width: 0px; border-image-outset: 0; border-image-repeat: stretch; border-image-slice: 100%; border-image-source: none; border-image-width: 1; border-left-color: currentColor; border-left-style: none; border-left-width: 0px; border-right-color: currentColor; border-right-style: none; border-right-width: 0px; border-top-color: currentColor; border-top-style: none; border-top-width: 0px; color: #1c1e21; display: inline-block; font-family: Helvetica,Arial,sans-serif; font-size: 0px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; height: 960px; letter-spacing: normal; max-height: 100%; max-width: 100%; orphans: 2; text-align: center; text-decoration: none; text-indent: 0px; text-transform: none; vertical-align: top; white-space: normal; width: 680px; word-spacing: 0px;" /><b></b><i></i><u></u><strike></strike></span></div> <div> <span style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #1c1e21; display: inline !important; float: none; font-family: inherit; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; letter-spacing: normal; orphans: 2; text-align: left; text-decoration: none; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; word-spacing: 0px;"><b></b><i></i><u></u><strike></strike><br /></span></div> <div> <span style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #1c1e21; display: inline !important; float: none; font-family: inherit; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; letter-spacing: normal; orphans: 2; text-align: left; text-decoration: none; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; word-spacing: 0px;">কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের এক মন্ত্রীর দ্বারা ‘মাদ্রাসায় বাদ্যযন্ত্র দেয়া হবে’ বক্তব্যের পর বোঝা গিয়েছে যে, প্রিয়া সাহা ঘটনার পরও সরকারের বিন্দুমাত্র শিক্ষা হয়নি। আওয়ামী সরকার তার শাসনামলের পুরোটা সময় যে নীতি অবলম্বন করেছে, তা হলো একদিকে তারা মুসলমানদের ডি-মরালাই</span><span class="text_exposed_show" style="-webkit-text-stroke-width: 0px; color: #1c1e21; display: inline; font-family: inherit; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; letter-spacing: normal; orphans: 2; text-align: left; text-decoration: none; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; word-spacing: 0px;">জড ও তাদের দ্বীনি চেতনাকে অবদমিত করে রেখেছে, তথা কুরবানী, জিহাদ এগুলোর প্রতি নিরুৎসাহিত করেছে মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য। অপরদিকে হিন্দুদের গর্দানে চর্বি জমিয়ে জমিয়ে তাদেরকে চূড়ান্ত আগ্রাসী শ্রেণীতে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগের ধারণা, এতেই তার অবৈধ ক্ষমতা চিরস্থায়ী হবে।</span></div> <span class="text_exposed_show" style="-webkit-text-stroke-width: 0px; color: #1c1e21; display: inline; font-family: inherit; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; letter-spacing: normal; orphans: 2; text-align: left; text-decoration: none; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; word-spacing: 0px;"> <br /> মাদ্রাসায় বাদ্যযন্ত্র দেয়ার বিষয়টিও সেরূপ, অর্থাৎ এর বিপরীতে দেশের আনাচে-কানাচে সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে হিন্দু বাচ্চাদের সন্ত্রাসবাদের দীক্ষা দিতে ‘গীতা স্কুল’ গজিয়ে উঠছে এবং এগুলো তত্ত্বাবধান করছে এমনসব উগ্র হিন্দু, যাদের উগ্রতার কারণে খোদ হিন্দুবান্ধব আওয়ামী সরকারের পুলিশও তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে।<br /> <br /> উদাহরণস্বরূপ, কয়েক বছর আগে আমি ‘কার্তিক কৃষ্ণ রায়’ নামে বগুড়া আজিজুল হক কলেজের এক উগ্র হিন্দু যুবকের কয়েকটি স্ট্যাটাস নিয়ে পোস্ট দিই। তার স্ট্যাটাসগুলোতে লেখা ছিল-<br /> <br /> “সব গ্রামেই ছোট বড় কালী মন্দির, শীতলা মন্দির, মনসা মন্দির আছে। মন্দিরে খড়গও আছে, কিন্তু দুঃখের বিষয় খড়গগুলো জং ধরা, কোনটা মরিচাধরা, কোনটাতে আবার ঢাঁর নেই নাই। কোন কোন খড়গের ব্যবহার নাই ৫০/১০০ বছর ধরে। ফলে খড়গগুলো হিন্দুদের অভিশাপ দিচ্ছে রক্তের স্বাদ না পেয়ে। মন্দিরের খড়গগুলোকে রক্ত না পান করানোর জন্য, মরিচা ধরানোর জন্য, খড়গ নষ্ট করার জন্য হিন্দুদের পাপ হয়েছে। ”<br /> <br /> “কালী পাঁঠা খাক, বা না খাক, আমার সমস্যা নাই, আমি নিজেও পাঁঠা খাই না। কিন্তু বলির সমর্থক আমি। হিন্দুদের রক্ত দেখার অভ্যাস করতে হবে, এক কোপে মাথা কেটে ফেলে দেওয়ার মত অভ্যাসটা যেন হিন্দু সমাজ থেকে না যায়।” (লিঙ্ক কমেন্টে)<br /> <br /> ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে এসব উগ্র স্ট্যাটাসগুলো দেয়ার পর আমি আমার পেজ থেকে পোস্ট দেই, এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে তার মেস থেকে ডিবি পুলিশ তখন গ্রেফতার করেছিল (স্ক্রীনশট কমেন্টে)। কিন্তু মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়, তখন হিন্দুদের পোস্টে কমেন্ট দেখেছিলাম যে, ভারতীয় হাইকমিশনের নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। <br /> <br /> জেলখাটা উগ্র হিন্দু এই কার্তিক কৃষ্ণ উত্তরাঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে হিন্দু শিশুদের বেশকিছু গীতা স্কুলের উদ্যোক্তা। যেমন তার নিজের গ্রাম নীলফামারীর ‘গের্দ্দ জয়চণ্ডী’র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি সে এবং তার সঙ্গীরা ব্যবহার করে থাকে ‘গীতা স্কুল’ হিসেবে। (লিঙ্ক কমেন্ট)<br /> <br /> উল্লেখ্য, এই কার্তিক কৃষ্ণই একমাত্র জেলখাটা হিন্দু নয়, যে কিনা হিন্দু শিশুদের সন্ত্রাসবাদের দীক্ষা দিতে গীতা স্কুল চালায়। ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে উগ্র হিন্দুরা নজিরবিহীন এক হামলা চালায়। সেই হামলার নেতৃত্ব দিয়ে গে্রফতার হয়েছিল ‘অজয় দত্ত’ নামক এক উগ্র হিন্দু যুবক (ছবিতে আগ্রাসী ভঙ্গিতে থাকা)। সে হলো ‘শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় গীতা শিক্ষা বোর্ড’ এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সচিব। (লিঙ্ক কমেন্ট)<br /> <br /> উল্লেখ্য, যে গোবিন্দ প্রামাণিককে দেখা যাচ্ছে কার্তিক কৃষ্ণ’র হাতে ত্রিশূল তুলে দিতে, তার উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘হিন্দু মহাজোট’ দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘বৈদিক স্কুল’ তৈরী করেছে।<br /> <br /> মূলত বাংলাদেশকে মুসলমান মুক্ত করতে হিন্দুদের যে পরিকল্পনা, তা সুদূরপ্রসারী। ভারতে হিন্দু বাচ্চাদেরকে উগ্রতার দীক্ষা দিতে নানারকম ট্রেনিং সেন্টার, অস্ত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। একারণে ভারতে হিন্দু বাচ্চারা বিভিন্ন দাঙ্গায় বড়দের সঙ্গ দেয় এবং উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরূপ, উগ্র হিন্দু শম্ভুলাল আফরাজুলকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে মারার সময় তার ভিডিও করেছিল তার নাবালক ভাতিজা। মিডিয়াগুলোতে ভিডিওটি নিয়ে আশ্চর্য প্রকাশ করা হয়েছিল যে, এরকম বীভৎস দৃশ্য দেখেও ভিডিওকারী নাবালক হিন্দু কিশোরটির হাত একবারের জন্যও কেঁপে উঠেনি, তা ছিল এতোটাই নিখুঁত।<br /> <br /> কাশ্মীরের আসিফা হত্যার সময়েও একই দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। আসিফাকে ধর্ষণে ধর্ষণে ক্ষতবিক্ষত করার পর কে তাকে মারবে, এই প্রশ্ন ওঠার পর এগিয়ে আসে পুরোহিতের নাবালক ভাগ্নে। সে-ই আসিফার মাথায় পাথর দিয়ে থেতলে থেতলে তাকে হত্যা করে। বাংলাদেশের হিন্দু শিশুদেরকেও যেন ভারতের আদলে গড়ে তোলা যায়, সেজন্য এদেশের উগ্র হিন্দুরা তাদের বাচ্চাদের দীক্ষা দিতে ‘গীতা’কে বেছে নিয়েছে, কারণ গীতা বইটি হলো কৃষ্ণ কর্তৃক অর্জুনকে যুদ্ধে প্রণোদনা দানের বিভিন্ন উপদেশ। <br /> <br /> হিন্দুদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা রয়েছে, তাদের গীতা স্কুল থেকে বের হওয়া হিন্দু বাচ্চাদের পরবর্তীতে আওয়ামী লবি ব্যবহার করে বিভিন্ন স্পর্শকাতর সরকারি পদে বসানো হবে, যেখান থেকে সহজে এদেশের মুসলমানদের উপর গণহত্যা চালানো সম্ভবপর হবে। সবচেয়ে বড় কথা, এসব গীতা স্কুল হচ্ছে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে, যেখানে হিন্দুদের কিছু সংখ্যাগরিষ্ঠ পকেট রয়েছে। ঐসব অঞ্চলকে কেন্দ্র করে যদি দাঙ্গা লাগে, তাহলে ভারতের ন্যায় সেখানে মুসলমানদের গলা কাটতে তাদের কোনো বেগ পেতে হবে না।<br /> <br /> কিন্তু মুসলমানরা কোনোপ্রকার বাধার সৃষ্টি করতে পারবে না, কারণ সে তো জিহাদের দীক্ষা পায়নি! সে তো মনে করেছে যে, সব হিন্দু খারাপ নয়। তার একমাত্র নিয়তি হবে পড়ে পড়ে মার খাওয়া আর হিন্দুদের দ্বারা নিজ মা-বোনের ধর্ষিত ক্ষতবিক্ষত দেহ অবলোকন করা।<br /> <br /> যদি বাঙালি মুসলমান নিজেদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে চায়, তবে তাদেরকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, হিন্দুদের পরবর্তী প্রজন্মকে বাংলার বুকে বিচরণ করতে দেয়া যাবে না। কারণ বর্তমানের প্রিয়া সাহার প্রজন্মই মূলত বিশ্বাসঘাতকতায় সীমাবদ্ধ থাকবে, এর পরের প্রজন্ম সরাসরি গীতার দীক্ষা নিয়ে হত্যা-ধর্ষণে নেমে পড়বে।</span><br />

মাদ্রাসায় বাদ্যযন্ত্র দিতে তোড়জোর, ওদিকে জেলখাটা হিন্দু সন্ত্রাসীদের তত্ত্বাবধানে দেশের আনাচে-কানাচে গজিয়ে উঠছে একের পর এক ‘গীতা স্কুল’

কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের এক মন্ত্রীর দ্বারা ‘মাদ্রাসায় বাদ্যযন্ত্র দেয়া হবে’ বক্তব্যের পর বোঝা গিয়েছে যে, প্রিয়া সাহা ঘটনার পরও সরকারের...

Read more »

ঢাকার দয়াগঞ্জ শিব মন্দিরে হিন্দু অভিনেতাদের টুপি-পাঞ্জাবী পরে ইসলামবিরোধী নাটক মঞ্চায়ন!

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <iframe allowfullscreen="allowfullscreen" class="b-hbp-video b-uploaded" frameborder="0" height="266" id="BLOGGER-video-44d4bc60237b300a-9661" mozallowfullscreen="mozallowfullscreen" src="https://www.blogger.com/video.g?token=AD6v5dy23_uu2XbGBb7OKpaiXU_KzwpZTgFowWJO3tLVQXYf4MQ28sICj3Q2Iee5vM285PipgTQc3cK4z8T2I4_1URFzyiQV52gxJLn8P5bgi2aidhd0_h0iVRvrBKHAHNvyHkH-1MA" webkitallowfullscreen="webkitallowfullscreen" width="320"></iframe></div> <span style="font-family: "nirmala ui" , "sans-serif";"><br /></span> <span style="font-family: "nirmala ui" , "sans-serif";"><br /></span> <span style="font-family: "nirmala ui" , "sans-serif";">নিচের ছবিটি হিন্দুদের কথিত ‘লাভ জিহাদ’ বিরোধী একটি নাটক, যেখানে হিন্দু অভিনেতারা টুপি-পাঞ্জাবী ও রুমাল পরেছে ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য। নাটকটির নাম তারা দিয়েছে ‘বিসর্জন’। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পাঞ্জাবী-রুমাল পরিয়ে একজনকে বিয়ে পড়ানোর কাজী সাজানো হয়েছে, পেছনের ব্যানারেই লেখা রয়েছে শিব মন্দির, দয়াগঞ্জ, ঢাকা।</span><br /> <span style="font-family: "nirmala ui" , "sans-serif";"><br /></span> <br /> <span style="font-family: "nirmala ui" , "sans-serif";">নাটকে অভিনয় করেছে তেজগাঁও কলেজের ‘হিন্দু ছাত্র মহাজোট’ এর সদস্যরা। তাদের একজন ফেসবুকে ঘোষণা দিয়েছে, যে কোনও ধর্মীয় (হিন্দুধর্মীয়) অনুষ্ঠানে এই লাভ জিহাদ বিরোধী নাটক ‘বিসর্জন’ করতে চাইলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তথ্য ও যোগাযোগঃ 01880-275332।</span><br /> <span style="font-family: "nirmala ui" , "sans-serif";"><br /></span> <br /> <span style="font-family: "nirmala ui" , "sans-serif";">উল্লেখ্য, অমুসলিম দেশগুলোতে বানোয়াট ইস্যুতে কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবেই মসজিদ-মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া হয়। কয়েকদিন আগেই সংবাদে এসেছে যে, গরুর গোশত থাকতে পারে এই সন্দেহে ভারতের উত্তরপ্রদেশে একটি গোটা মাদ্রাসা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। </span><br /> <span style="font-family: "nirmala ui" , "sans-serif";"><br /></span> <br /> <span style="font-family: "nirmala ui" , "sans-serif";">কিন্তু বাংলাদেশ এমনই অথর্ব অছাম্প্রদায়িক মুসলমানদের দেশ, যেখানে চট্টগ্রামের ৩০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীকে ‘হরে কৃষ্ণ, হরে রাম’ বলিয়ে প্রসাদ খাওয়ালেও প্রবর্তক ইসকন মন্দির বন্ধ হওয়া তো দূরে, একটি ইটও খসানো হয় না। খোদ রাজধানী ঢাকা শহরের, তাও আবার মন্দিরের ভেতরে তেজগাঁও কলেজের হিন্দু শিক্ষার্থীরা টুপি-পাঞ্জাবী পরে ইসলামবিরোধী নাটক মঞ্চস্থ করেঅ কারণ তারা জানে অথর্ব অছাম্প্রদায়িক বাঙালি মুসলমানরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, তাদের মন্দিরের কিছু হওয়া তো দূরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও তাদের বিরুদ্ধে এ কারণে কোনো ব্যবস্থা্ নিতে পারবে না। </span><br /> <br /> <span style="font-family: "nirmala ui" , "sans-serif";">বাংলাদেশের মুসলমানরা কি মনে করে, দেশটা এখনও তাদের রয়েছে? না দেশটা তাদের নেই, থাকলে তাদের দেশে তাদের বুকের ওপর চড়ে হিন্দুরা তাদের শিশুদের হরে কৃষ্ণ বলাতে পারত না। তাদের অছাম্প্রদায়িকতাই তাদেরকে তাদের দেশের মালিকানা হতে বিচ্যুত করেছে, তাদেরকে নিজভূমে পরাধীন করেছে।</span><br /> <span style="font-family: "nirmala ui" , "sans-serif";"><br /></span> <br /> <span style="font-family: "nirmala ui" , "sans-serif";"></span><br /> <br /> <br /> <b></b><i></i><u></u><strike></strike>

ঢাকার দয়াগঞ্জ শিব মন্দিরে হিন্দু অভিনেতাদের টুপি-পাঞ্জাবী পরে ইসলামবিরোধী নাটক মঞ্চায়ন!

নিচের ছবিটি হিন্দুদের কথিত ‘লাভ জিহাদ’ বিরোধী একটি নাটক, যেখানে হিন্দু অভিনেতারা টুপি-পাঞ্জাবী ও রুমাল পরেছে ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করার ...

Read more »

কুরআন শরীফের অবমাননাকারীকে গ্রেফতার করায় বগুড়ার এক হিন্দু সন্ত্রাসী, মুসলমানদের গলা কেটে ফেলার হুমকি

<p dir="ltr">সম্প্রতি লালমনিরহাটে কাবা শরীফ নিয়ে কটুক্তিকারী শ্যামল চন্দ্র রায় শিমুল (২৪) কে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। স্থানীয় মুসলমানদের বিক্ষোভ ও তীব্র প্রতিবাদের মুখে পুলিশ শ্যামলকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়। উক্ত এলাকার হিন্দুরা কেন ভীরুর মতো রয়েছে, তা দেখে দুঃখ পেয়েছে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের কার্তিক কৃষ্ণ রায় নামক এক ছাত্র। </p> <p dir="ltr">সম্প্রতি কালীপূজাকে কেন্দ্র করে সে লালমনিরহাটের হিন্দুদেরকে উত্তেজিত করতে লিখেছে-</p> <p dir="ltr">//কালী পাঁঠা খাক, বা না খাক, আমার সমস্যা নাই, আমি নিজেও পাঁঠা খাই না। কিন্তু বলির সমর্থক আমি। হিন্দুদের রক্ত দেখার অভ্যাস করতে হবে, এক কোপে মাথা কেটে ফেলে দেওয়ার মত অভ্যাসটা যেন হিন্দু সমাজ থেকে না যায়। এই কোপাকোপি থেকে হিন্দুরা সরে আসাতে হিন্দুরাই আজ চাপাতির কোপের শিকার। </p> <p dir="ltr">তাই মায়ের পূজায় পাঁঠাবলি দিয়ে হিন্দুদের অসুর বলি দেওয়ার মত সাহস জোগাড় করতে হবে। পাঁঠাকে অসুরদের প্রতীক ভেবে এইবারের পূজা হোক, মন্দিরে নতুন ৫০ টা খড়গ তৈরি করা হোক। প্রত্যেক হিন্দুদের একটি পাঁঠাকে বলি দিতে হবে, এতে তাদের ব্যবহারিক শিক্ষা হবে। একটা গ্রামে ৫০ জন যুবকের বাড়িতে ৫০ টা খড়গ থাকলে অসুরেরা ঐ গ্রামে আসুরিক কার্যক্রম চালাতে ভয় পাবে, দেশে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসবে।// (http://archive.is/hBGfQ)</p> <p dir="ltr">এই কার্তিক কৃষ্ণ রায় বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ নামক একটি উগ্র হিন্দু সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও আহবায়ক। তার ফোন নম্বর ০১৭৭০৮৩৭০৩৮। এই উগ্র হিন্দুকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে এলাকাবাসী ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, নতুবা যে কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য এসব হিন্দুরাই দায়ী থাকবে।<br> ----------------</p>

কুরআন শরীফের অবমাননাকারীকে গ্রেফতার করায় বগুড়ার এক হিন্দু সন্ত্রাসী, মুসলমানদের গলা কেটে ফেলার হুমকি

সম্প্রতি লালমনিরহাটে কাবা শরীফ নিয়ে কটুক্তিকারী শ্যামল চন্দ্র রায় শিমুল (২৪) কে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। স্থানীয় মুসলমানদের বিক্ষোভ ও ...

Read more »

টাকার বিনিময়েই দেওবন্দীরা বাংলাদেশে আম্লীগ হয় আর ভারতে বিজেপি হয়...

<p dir="ltr">“আওয়ামীলীগ হইয়া গেলেও কোন আপত্তি নাই। আওয়ামীলীগের মধ্যে এমন এমন মানুষ আছে, যারা দ্বীনকে ভালবাসে, আমাদেরকে মোটা অংকে মাদ্রাসায় সাহায্য করে। মোটা অংকে সাহায্য করে।”</p> <p dir="ltr">‘মোটা অংকে সাহায্য করে’ কথাটি শফী সাহেব দু’বার উচ্চারণ করেছে তার ভাষণে। দেওবন্দ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার সময়ে এর প্রতিষ্ঠাতা কাসিম নানুতবী মাদ্রাসা পরিচালনার আটটি মূলনীতি ঠিক করে দিয়েছিল, যাকে ‘উসুলে হাস্তগানা’ বলা হয়। মূলনীতির প্রথম ধারাটি হচ্ছে-</p> <p dir="ltr">“বেশি বেশি করে চাঁদা আদায় করতে হবে”</p> <p dir="ltr">দেওবন্দের অনুসারী সমস্ত কওমি মাদ্রাসাগুলো এই নীতিতেই পরিচালিত হয়, যে কারণে টাকাই তাদের নিকট মূল ফ্যাক্টর বিবেচিত হয়। এই টাকার বিনিময়ে তারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগার হয়, আর ভারতে বিজেপির সমর্থক হয়।</p> <p dir="ltr">বর্তমানে ভারতে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলো, যেমন উত্তরপ্রদেশ, আসামে কেন বিজেপি জয়ী হচ্ছে, অনেকের মনেই এই প্রশ্ন উত্থাপিত হতে পারে। এর উত্তর খুবই সহজ, তা হলো ঐসব এলাকার কওমি মাদ্রাসাগুলোতে বিজেপির নেতারা চাঁদা দেয়। এই টাকার বিনিময়ে কওমি মাদ্রাসাগুলো প্রচারণা চালিয়ে স্থানীয় মুসলমানদের সমর্থন বিজেপির দিকে ঘুরিয়ে দেয়।</p> <p dir="ltr">ভারতে বিগত ত্রিপুরা নির্বাচনে সেখানে বিজেপি জয়ী হয়। সেই নির্বাচনের আগে বিজেপি সেখানকার কওমি মাদ্রাসাগুলোতে টাকা দেয়। বিজেপির দেয়া সেই টাকার চেকের ছবিসহ একটি পোস্ট দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের উগ্র হিন্দু সংগঠন ‘হিন্দু সংহতি’র এক নেতা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ‘কাসিমুল উলুম’ নামক একটি মাদ্রাসাকে পাঁচ লাখ টাকার চেক দেয়া হয়েছে বিজেপির প্রেসিডেন্ট ও স্টেট প্রেসিডেন্টের সিগনেচার সহ। উল্লেখ্য, ক্বওমি মাদ্রাসাগুলো প্রায়শই তাদের নাম তাদের প্রতিষ্ঠাতা ‘কাসিম নানুতবী’র নামানুসারে ‘কাসিমুল উলুম’ রেখে থাকে। (http://bit.ly/2zPpObh)</p> <p dir="ltr">ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসা যে প্রতিবছর গরু কুরবানীর বিরুদ্ধে ফতোয়া দেয়, সে বিষয়টি আগেও বিভিন্ন পোস্টে উল্লেখ করেছি। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসার পর মুসলমানদের সমস্ত কসাইখানাও বন্ধ করে দেয় ‘অবৈধ’ ট্যাগ দিয়ে। আদিত্যনাথের এই তীব্র মৌলবাদী পদক্ষেপের প্রশংসা করে বিবৃতি দিয়েছিল আরশাদ মাদানী, দেওবন্দের প্রিন্সিপাল হুসাইন মাদানীর ছেলে। (http://twocircles.net/2017may08/409083.html)</p> <p dir="ltr">উল্লেখ্য, এদেশে দেওবন্দী মাদ্রাসাগুলোতে আরশাদ মাদানী প্রধান মুরুব্বীদের একজন বলে বিবেচিত হয়, তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভারত থেকে তাকে প্রধান অতিথি করে আনা হয়। এদেশে দেওবন্দীরা ঈদের দিনে কুরবানীর চামড়ার জন্য দৌড়াদৌড়ি করে, আর ভারতে তারা গরু কুরবানী বন্ধ করে দেয়ার জন্য যোগীর প্রশংসায় বিবৃতি দেয়। এই যে তাদের পরস্পরবিরোধী অবস্থান, এর মূল কারণ হচ্ছে ডোনার বা দাতাগোষ্ঠীর পার্থক্য। বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসার মূল ডোনার হচ্ছে সাধারণ মুসলমানরা, বিপরীতে ভারতে কওমি মাদ্রাসার মূল ডোনার হচ্ছে হিন্দুরা, নির্দিষ্ট করে বললে বিজেপিপন্থী উগ্র হিন্দুরা।</p> <p dir="ltr">ভারতে অবস্থিত কেন্দ্রীয় দেওবন্দ মাদ্রাসার ইতিহাস নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত ‘দারুল উলুম দেওবন্দের ইতিহাস’ নামক একটি বই রয়েছে। বইটি উর্দুতে লেখা ‘তারিখে দারুল উলুম দেওবন্দ’ এর বাংলা অনুবাদ, যা কিনা ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসা কর্তৃক সার্টিফায়েড তাদের নিজস্ব ইতিহাস। বইটির ১৮৭ নং পেজে একটি অধ্যায় রয়েছে, যার শিরোনাম হলো ‘হিন্দু সহযোগী’। (http://bit.ly/2HJEr1T)</p> <p dir="ltr">সেখানের শুরুতেই বলা হয়েছে, “দারুল উলূমের সাহায্য-সহযোগিতা ও চাঁদাদানের ক্ষেত্রে শুরু থেকেই এ নিয়ম চলে আসছিল যে, সকল ধর্মাবলম্বীদের চাঁদা এখানে গ্রহণ করা হতো। এ কারণে দেওবন্দ মাদ্রাসার কার্যবিবরণীর স্থানে স্থানে হিন্দু ও অন্যান্য অমুসলিম চাঁদাদাতাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।”</p> <p dir="ltr">অর্থাৎ সোজা ভাষায়, যদি ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের চাঁদার রসিদের বই চেক করা হয়, জায়গায় জায়গায় হিন্দু ও বিজেপি নেতাদের নাম পাওয়া যাবে। ঠিক সেভাবেই হাটহাজারী মাদ্রাসার চাঁদার বইয়ের জায়গায় জায়গায় পাওয়া যাবে আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম। সুতরাং বাংলাদেশের দেওবন্দীদের আওয়ামীলীগ হইয়া গেলেও কোন আপত্তি নাই, যেমনটি ভারতের দেওবন্দীদের বিজেপি হইয়া গেলেও কোন আপত্তি নাই।<br> Dastaar Rajdarbaar</p>

টাকার বিনিময়েই দেওবন্দীরা বাংলাদেশে আম্লীগ হয় আর ভারতে বিজেপি হয়...

“আওয়ামীলীগ হইয়া গেলেও কোন আপত্তি নাই। আওয়ামীলীগের মধ্যে এমন এমন মানুষ আছে, যারা দ্বীনকে ভালবাসে, আমাদেরকে মোটা অংকে মাদ্রাসায় সাহায্য করে। ম...

Read more »

পুলিশ বাহিনীতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ!

<p dir="ltr">রংপুরে ৬ জন মুসলমান হত্যা নিয়ে এদেশের হিন্দুরা যারপরনাই উত্তেজিত, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের। গত রাতে এক ঘণ্টার ব্যবধানে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের “সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ“ এর সাধারণ সম্পাদক ও আহবায়ক ‘কার্তিক কৃষ্ণ রায়’ (ফোন নম্বর ০১৭৭০৮৩৭০৩৮) এ প্রসঙ্গে অস্ত্রের ছবিসহ দুটি স্ট্যাটাস দিয়েছে। একটি স্ট্যাটাসে লিখেছে-<br> -<br> সব গ্রামেই ছোট বড় কালী মন্দির, শীতলা মন্দির, মনসা মন্দির আছে। মন্দিরে খড়গও আছে, কিন্তু দুঃখের বিষয় খড়গগুলো জং ধরা, কোনটা মরিচাধরা, কোনটাতে আবার ঢাঁর নেই নাই। কোন কোন খড়গের ব্যবহার নাই ৫০/১০০ বছর ধরে। ফলে খড়গগুলো হিন্দুদের অভিশাপ দিচ্ছে রক্তের স্বাদ না পেয়ে। মন্দিরের খড়গগুলোকে রক্ত না পান করানোর জন্য, মরিচা ধরানোর জন্য, খড়গ নষ্ট করার জন্য হিন্দুদের পাপ হয়েছে। সেই পাপের ফল আজকের রামু, অভয়নগর, সাঁথিয়া, নাসিরনগর, পাগলাপীরের মত ঘটনা ঘটেছে, ঘটবে।<br> -<br> প্রমান লিংক (http://archive.is/2oZzz )<br> -<br> আরেকটি স্ট্যাটাসের বক্তব্যও অনুরূপ- রক্ত দেখার অভ্যাস করতে হবে হিন্দুদের, নয়ত আগামী ১০০ বছরের মধ্যে হিন্দুদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। দেবতার সন্তুষ্টির জন্য নয়, হিন্দুদের সাহস অর্জনের জন্য হলেও বলি প্রথার প্রয়োজন আছে।<br> -<br> প্রমান লিংক (http://archive.is/BIZ9w )<br> -<br> নাহ, এসব নিয়ে আমি আর এদেশের সরকার-প্রশাসনের কাছে বিচার চাইব না। কারণ ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, রংপুরের রাজপথে শুয়ে মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরানো আহত এক যুবকের পাশে দাঁড়িয়ে যখন এক কিশোর কাঁদোকাঁদো স্বরে পুলিশের নিকট অনুযোগ করছিল, আপনারা আমাদের এতগুলো লোককে গুলি করলেন কেন? আপনারা কি মুসলমান না? তখন পুলিশ তাকে ধমক দিয়েছিল “চোপ”।<br> -<br> প্রমান লিংক ( https://goo.gl/eb8ihM )<br> -<br> সুতরাং আমরা বরং পুলিশ বাহিনীকে আহবান করব, মুসলমানদের রক্ত দিয়ে গোসল করতে ইচ্ছুক এসব উগ্র হিন্দুত্ববাদী যুবকদের পুলিশে নিয়োগ দিতে। কারণ “মুসলমান দমন আর হিন্দুর পালন” আওয়ামী পুলিশবাহিনীর মূলনীতি কিন্তু এটাই। বিদেশী কুকুর দিয়ে যদি ‘ডগ স্কোয়াড’ গঠিত হতে পারে, সেক্ষেত্রে আমেরিকা-ইসরায়েলের দালাল এসব হিন্দুদেরকে দিয়ে আওয়ামী পুলিশ বাহিনীতে নতুন ‘বলি স্কোয়াড’ গঠন করাটাও সময়ের দাবী বটে!</p>

পুলিশ বাহিনীতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ!

রংপুরে ৬ জন মুসলমান হত্যা নিয়ে এদেশের হিন্দুরা যারপরনাই উত্তেজিত, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের। গত রাতে এক ঘণ্টার ব্যবধানে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক ...

Read more »

দিল্লী থেকে মুসলিম অপসারণে প্যাটেলের ভূমিকা ও সন্ত্রাসী মোদির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ (২)

<p dir="ltr">why Muslims are allowed to go about in peace openly in the streets of Delhi and other towns. অর্থাৎ, “কেন মুসলমানদেরকে দিল্লী কিংবা অন্যান্য শহরের রাস্তায় নিরাপদে বের হওয়ার অধিকার দেয়া হবে?”</p> <p dir="ltr">Why there are any Muslims at all in the police and the civil administration অর্থাৎ “কেন পুলিশ-প্রশাসনে একটিমাত্র মুসলমান কর্মীও অবশিষ্ট থাকবে?" (http://bit.ly/2P5a9O9)</p> <p dir="ltr">সাতচল্লিশে দেশবিভাগের পর এই প্রশ্নগুলো তুলেছিল বল্লভ প্যাটেল, যার মূর্তি সন্ত্রাসী মোদি সম্প্রতি উদ্বোধন করেছে ভারতের গুজরাটে। পূর্বের অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে যে, এই প্যাটেল কিভাবে ভারতের পুলিশ-প্রশাসনকে মুসলিমমুক্ত করেছিল। এই পর্বে আলোচনা করা হবে, কিভাবে সে ভারতের দিল্লীকে মুসলিমমুক্ত করে তাকে হিন্দুরাষ্ট্রের রাজধানী হওয়ার উপযুক্ত করেছিল।</p> <p dir="ltr">সুলতানী আমল, মোগল আমলের রাজধানী দিল্লী আবহমান কাল থেকেই ভারতের নেতৃস্থানীয় সম্ভ্রান্ত মুসলমানদের বসতি ছিল। এই মুসলমান নাগরিকসমাজকে রেখে দিল্লীকে নব্য হিন্দুরাষ্ট্রের রাজধানী করা যাবে না, তাই পাঞ্জাব থেকে আসা রিফিউজি শিখ ও হিন্দুদের লেলিয়ে দেয়া হয় দিল্লীর মুসলমানদের বাড়িঘর আক্রমণ করে তা দখল করে নিতে। প্রাবন্ধিক নীরদ সি চৌধুরী তার আত্মজীবনীতে লিখেছিল-</p> <p dir="ltr">“দিল্লীতে যা ঘটে তার পিছনে শহরের তাবৎ হিন্দু ও শিখ জনসাধারণের নৈতিক সম্মতি ছিল আর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর নৈতিক সম্মতিরও বেশি কিছু ছিল (অর্থাৎ সক্রিয় সহযোগিতা ছিল) এসব ঘটনা ঘটার পেছনে। হিন্দুরা মুসলমানদের সবজিমণ্ডি, পাহাড়গঞ্জ ও করোলবাগের মতো সেইসব এলাকা বিশেষভাবে খতম করলো, যেখানে মুসলমানরা ছিল একান্তভাবে সংখ্যাগুরু।...</p> <p dir="ltr">সবজিমণ্ডি দাঙ্গার শেষ পরিণতি হলো-তিন চারদিন পর ঐ অঞ্চলে একজন মুসলমানের চিহ্ন রইল না। রাস্তাগুলির পাশে একেবারে শব্দার্থে সারি সারি মৃতদেহ পড়ে থাকতো এবং নালাগুলির প্রবাহ মৃতদেহের জন্য একেবারে অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। এ দাঙ্গায় হিন্দুরাই সর্বাগ্রে মুসলমানদের বাড়ি লুট করার পর পুলিশ ও সৈন্যবাহিনীর ঘটনাস্থলে আবির্ভাব ঘটে এবং হিন্দু, শিখ ও হিন্দু পুলিশ ও সেনাবাহিনীরা মিলিতভাবে মুসলমানদের দিল্লী থেকে উৎখাত করে।”</p> <p dir="ltr">প্যাটেল ছিল তৎকালীন সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থাৎ পুলিশ-সেনাবাহিনী তার নির্দেশেই দিল্লীর মুসলিম উৎখাতে নিয়োজিত হয়েছিল। প্যাটেল সরাসরিই বলেছিল যে, “there was bound to be trouble if as a result of these Muslims not moving out, it proved impossible to accommodate non-Muslim refugees coming from the West”</p> <p dir="ltr">অর্থাৎ যদি মুসলমানরা নিজ থেকে বের হয়ে না যায় সেক্ষেত্রে অবশ্যই trouble অর্থাৎ দাঙ্গা হবে, কারণ পশ্চিম তথা পাঞ্জাব থেকে আসা অমুসলমান রিফিউজিদের জায়গা করে দিতে হবে মুসলমান তাড়িয়ে।”</p> <p dir="ltr">উল্লেখ্য, প্যাটেলরা ছিল কংগ্রেসের আসল মুখ, তাকে নেহরু-গান্ধীর কথিত ‘সেক্যুলার’ মুখোশ দিয়ে আড়াল করে হিন্দুরাষ্ট্রের স্বার্থসিদ্ধি করা হতো। কিন্তু এখন আর হিন্দুদের মুখোশ দরকার নেই। তাই যেসব কথিত লিবারেলরা ভারতরাষ্ট্রের সাম্প্রদায়িক মুখকে এতোদিন আড়াল করে রেখেছিল, তাদেরকেই ভারতের বিভিন্ন ভার্সিটি থেকে বর্তমানে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে ‘হিন্দুত্ববিরোধী’ বলে।</p> <p dir="ltr">সুতরাং মুসলমানদেরকেও তাদের কথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র গোলকধাঁধাঁ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। হিন্দুরা যেহেতু তাদের কুৎসিত চেহারা প্রকাশ করেই ফেলেছে, সুতরাং হিন্দুদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশেও মুসলমানদের কোনরূপ কার্পণ্য করা চলবে না।<br> Dastaar Rajdarbaar</p>

দিল্লী থেকে মুসলিম অপসারণে প্যাটেলের ভূমিকা ও সন্ত্রাসী মোদির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ (২)

why Muslims are allowed to go about in peace openly in the streets of Delhi and other towns. অর্থাৎ, “কেন মুসলমানদেরকে দিল্লী কিংবা অন্যান্য...

Read more »

ভারতের চাকরিক্ষেত্র থেকে মুসলিম বিতাড়ণে প্যাটেলের ভূমিকা ও মোদির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

<p dir="ltr">সাতচল্লিশে কংগ্রেস ক্ষমতা নেয়ার পর ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর লক্ষ্যে অনেকরকম পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল, যার অন্যতম ছিল চাকরিক্ষেত্র থেকে মুসলিম বিতাড়ণ। ভারতীয় ইতিহাসবিদ গোলাম আহমাদ মোর্তজা তার ‘ইতিহাসের এক বিস্ময়কর অধ্যায়’ বইতে সাংবাদিক গৌতম রায়ের বরাতে উল্লেখ করেছেন-</p> <p dir="ltr">“একদা কংগ্রেস আমলে উত্তরপ্রদেশে সরকারি চাকরিতে মুসলমান নিয়োগ বন্ধ ছিল। তৎকালীন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (উত্তরপ্রদেশের) রাজ্য বিধানসভায় এই তথ্য স্বীকার করেছে। প্রাক্তন প্রতিরক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী মহাবীর ত্যাগী সংসদে স্বীকার করেছিল, স্বাধীনতার পর রেল, যোগাযোগ, পুলিশ ও প্রতিরক্ষা বিভাগে মুসলমানদের অনুপাত ৩২ শতাংশ থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ২ শতাংশ। বল্লভ প্যাটেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন সার্কুলার জারি করেছিল, প্রশাসনের মূল এবং নিয়ন্ত্রক ক্ষেত্রগুলিতে যেন মুসলমানদের প্রবেশ না ঘটে।”</p> <p dir="ltr">বল্লভ প্যাটেল এই যে ‘সার্কুলার’ জারি করেছিল প্রশাসনের মূল ও নিয়ন্ত্রক ক্ষেত্রগুলো থেকে মুসলমান বিতাড়ণের লক্ষ্যে, তার অনুলিপি রামচন্দ্র গুহের ‘গাঁধী উত্তর ভারতবর্ষ’ বইতে দেয়া হয়েছে। সার্কুলারে ভারত সরকার কর্তৃক কাশ্মীর ও হায়দারাবাদে দমনমূলক নীতি অবলম্বন করার বিষয়টি স্বীকার করা হয়েছে এবং এর প্রেক্ষিতেই প্যাটেল তার সার্কুলারে লিখেছিল যে-</p> <p dir="ltr">“কাজেই কোনওরকম গোপন ও অপ্রকাশ্য কাজের ভার মুসলমানদের না দেওয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে মুসলমান না বসানোটা অত্যন্ত জরুরী”।</p> <p dir="ltr">‘গাঁধী উত্তর ভারতবর্ষ’ বইটির পিডিএফ কপি রয়েছে। আগ্রহীরা বইটির ৩২৯ পৃষ্ঠায় সার্কুলারটি দেখতে পারবে। (http://bit.ly/2qlL3fg)</p> <p dir="ltr">একদা মুসলিমশাসিত ভারত যে বর্তমানে হিন্দুপ্রধান একটি রাষ্ট্র, এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে সেদেশের প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীতে মুসলমানের অনুপস্থিতি। সাতচল্লিশের পরপরই প্রশাসন থেকে পরিকল্পিতভাবে মুসলিম বিতাড়ণের মাধ্যমে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল বল্লভ প্যাটেল, যা কিনা বর্তমানে মোদির উগ্র হিন্দুরাষ্ট্র গঠনের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে।  একারণেই মোদি প্যাটেলের এমন মূর্তি বানিয়েছে, যা কিনা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড়। </p> <p dir="ltr">বিপরীতে পাকিস্তান গঠনের পর হিন্দু বিতাড়ণের অনুরূপ কোনো পদক্ষেপই মুসলিম নেতারা নেয়নি। সে কারণেই হয়তো বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিন্দু শিক্ষক দ্বারা মুসলিম ছাত্রী ধর্ষণ করা হয়, অনলাইনে ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করা হয়, দেবোত্তর সম্পত্তির নামে মুসলমানদের জমি দখল করে নেয়া হয়।</p>

ভারতের চাকরিক্ষেত্র থেকে মুসলিম বিতাড়ণে প্যাটেলের ভূমিকা ও মোদির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

সাতচল্লিশে কংগ্রেস ক্ষমতা নেয়ার পর ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর লক্ষ্যে অনেকরকম পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল, যার অন্যতম ছিল চাকরিক্ষেত্র থেকে মুসল...

Read more »

প্রিয়া সাহাদের শতকরা হিসাবের পরিসংখ্যানগত মিথ্যাচার ও সংখ্যাগত তুলনার দ্বারা এর জবাব

<p dir="ltr">৪৭ এ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে কেন্দ্র করে দুটি ধর্মীয় জাতিরাষ্ট্রের বিষবৃক্ষ রোপিত হয়েছিল, একটি হলো ইসরায়েল, অপরটি ভারত। ইসরায়েল তার জন্মের শুরুতেই ঘোষণা দিয়েছিল, দুনিয়ার যে কোনো ইহুদি তার ইহুদি পরিচয়ের কারণেই ইসরায়েলের নাগরিকত্ব পাবে। ইসরায়েলের এই ঘোষণার কারণে পৃথিবীর যেসব দেশে অনুকূল পরিবেশের কারণে ইহুদী বসতি গড়ে উঠেছিল, সেগুলোও কয়েক বছরের মধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে যায়। উদাহরণের জন্য বেশিদূর যেতে হবে না, পাশ্ববর্তী ভারতেই একটি সময়ে বহু ইহুদী বসবাস করত, যাদের বংশধররা এখন সবাই ইসরায়েলে বসবাস করে।</p> <p dir="ltr">মরক্কোর রাজা দ্বিতীয় হাসান ছিল কঠিন ইহুদীপ্রেমী, জন্মের পর যার দুধমা-ই ছিল এক ইহুদী মহিলা। এই হাসান আরব নেতাদের এক পারস্পরিক আলোচনা, যেখানে তারা তাদের সৈন্যঘাটি ও অস্ত্রশস্ত্রের অবস্থান নিয়ে আলোচনা করছিল, তার অডিও টেপ ইসরায়েলকে দিয়েছিল। যার ফলে ছয়দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল অতর্কিতভাবে মিসর ও সিরিয়ার সামরিক গোপনীয় স্থানে হামলা করতে সক্ষম হয়েছিল এবং এর ফলেই ইসরায়েল জেরুজালেম, পশ্চিম তীর, গাজা দখলে সমর্থ হয়।</p> <p dir="ltr">এই দ্বিতীয় হাসানের মৃত্যুর পর তার শেষকৃত্যে ইসরায়েলের প্রধান নেতারা যোগ দিয়েছিল, ইসরায়েলে অবস্থানরত মরক্কো বংশোদ্ভূত ইহুদিরা ৭ দিনের শোক পালন করেছিল। (https://nyti.ms/2JIqrbE) অথচ উইকিপিডিয়া অনুসারে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার আগে মরক্কোতে ইহুদীসংখ্যা ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার, বর্তমানে সেখানে মাত্র ২৫০০ জন ইহুদী রয়েছে।</p> <p dir="ltr">এখানে আমরা দেখতে পাই, চরম অনুকূল পরিবেশ ও শাসক থাকা সত্ত্বেও সংখ্যাগতভাবেই ইহুদীদের সংখ্যা কমেছে, কারণ ইহুদীদের নিকট ইসরায়েল ছিল ‘প্রমিজড ল্যান্ড’। সেই প্রমিজড ল্যান্ডের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সেখানে ইহুদী মাত্রই নাগরিকত্ব দেয়া হবে। সম্প্রতি ভারতরাষ্ট্রও তার এই চরিত্র উন্মোচন করেছে, যে অন্য দেশের হিন্দুদেরকে সেখানে নাগরিকত্ব দেয়া হবে আর সেদেশের বাপদাদা বংশপরম্পরায় বসবাসরত মুসলমানদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হবে।</p> <p dir="ltr">সে হিসেবে কেন যৌক্তিকভাবেই বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা কমবে না, যদিও বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ চরম হিন্দুতোষণকারী হোক না কেন? মরক্কোর রাজা কি কম ইহুদীতোষক ছিল, হিন্দুরা কি কম ইহুদীপ্রেমী? তাদের দেশে তো ইহুদীরা থাকেনি।</p> <p dir="ltr">তবে আমার বলার বিষয় হচ্ছে, মরক্কোতে কিংবা ভারতে ইহুদী কমলেও, বাংলাদেশে কিন্তু আদতে হিন্দুদের সংখ্যা কমেনি। ভারত কিংবা মরক্কোতে সংখ্যাগত তুলনা দিয়ে দেখানো যায় যে, ইহুদীরা কমেছে। সেসব দেশে পঞ্চাশ বছর আগে যেখানে কয়েক লাখ ইহুদী থাকত, তারা এখন কয়েক হাজারে নেমে এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এরকম সরাসরি সংখ্যাগত তুলনা দেয়া হচ্ছে না, যে কারণে হিন্দুরা শতকরা হিসাবের গোঁজামিল দিয়ে গোটা জাতিকে বিভ্রান্তিতে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।</p> <p dir="ltr">প্রথমে আমাদেরকে দেখতে হবে যে, সংখ্যাগতভাবে হিন্দু জনসংখ্যা আসলেই কমেছে কিনা। নিচের লিস্টটি উইকিপিডিয়াতে দেয়া (http://bit.ly/2Oc0HZi)। প্রথম কলামে বছর, দ্বিতীয় কলামে হিন্দু জনসংখ্যা ও তৃতীয় কলামে আগের বছরের তুলনায় শতকরা বৃদ্ধি-</p> <p dir="ltr">Year Pop. ±%</p> <p dir="ltr"> </p> <p dir="ltr">1901 9,546,240 —</p> <p dir="ltr"> </p> <p dir="ltr">1911 9,939,825 +4.1%</p> <p dir="ltr"> </p> <p dir="ltr">1921 10,176,030 +2.4%</p> <p dir="ltr"> </p> <p dir="ltr">1931 10,466,988 +2.9%</p> <p dir="ltr"> </p> <p dir="ltr">1941 11,759,160 +12.3%</p> <p dir="ltr"> </p> <p dir="ltr">1951 9,239,603 −21.4%</p> <p dir="ltr"> </p> <p dir="ltr">1961 9,379,669 +1.5%</p> <p dir="ltr"> </p> <p dir="ltr">1974 9,673,048 +3.1%</p> <p dir="ltr"> </p> <p dir="ltr">1981 10,570,245 +9.3%</p> <p dir="ltr"> </p> <p dir="ltr">1991 11,178,866 +5.8%</p> <p dir="ltr"> </p> <p dir="ltr">2001 11,379,000 +1.8%</p> <p dir="ltr"> </p> <p dir="ltr">2011 12,492,427 +9.8%</p> <p dir="ltr"> </p> <p dir="ltr">এখানে স্পষ্টভাবেই একটি বিষয় লক্ষ্য করা যায়, তা হলো হিন্দু জনসংখ্যা প্রতিবছরই আগের বছরের তুলনায় সংখ্যাগতভাবে বেড়েছে, কখনোই কমেনি। মূলত হিন্দুরা যে গোঁজামিলটি দিয়েছে তাদের হিসাবে, তা হলো তারা নিজেদেরটা বাদ রেখে গোটা দেশের জনসংখ্যার বৃদ্ধিহারের সাথে নিজেদেরটা কেন বাড়ল না, তার প্রশ্ন তুলেছে। এই গোঁজামিল দিয়েই প্রিয়া সাহা ৩৭ মিলিয়ন ‘মিসিং’ দাবি করেছে। এখন বাংলাদেশ হলো মুসলিম অধ্যুষিত দেশ, আর মুসলমানদের বৃদ্ধিহার সবসময়ই হিন্দুদের চেয়ে বেশি। খোদ হিন্দুপ্রধান ভারতেও এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য।  </p> <p dir="ltr">সুতরাং বাংলাদেশের জনসংখ্যার বৃদ্ধিহার মূলত মুসলিম জনসংখ্যারই বৃদ্ধিহার, ঐ বৃদ্ধিহারকে নিজেদের বেস ফিগারের সাথে গুণ করে হিন্দুরা যদি দাবি করে তাদের এই লোকজন ‘মিসিং’ হয়েছে, সেক্ষেত্রে তা হবে চূড়ান্ত অসততার পরিচায়ক। অথচ হিন্দুদের নিজস্ব জনসংখ্যা কিন্তু প্রতিবছরই বেড়েছে, উপরের চার্টে দেয়া হিন্দু জনসংখ্যার প্রতিবছরের বৃদ্ধিহারই প্লাস। একবারই কেবল মাইনাস 21.4 পার্সেন্ট দেখা যায়, তা হলো ১৯৫১ সালে দেশভাগের পর। তার দায় মুসলমানদের নয়, কারণ বাংলা ভাগ করার প্রস্তাবকারী ছিল হিন্দুরা। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয়টি হচ্ছে, একাত্তরের যুদ্ধের পর ৭৪ সালের যে জনগণনা, সেখানেও দেখা যাচ্ছে যে এদেশে হিন্দুর সংখ্যা না কমে বরং বেড়েছে। ৬১ সালে হিন্দুরা ছিল ৯৩ লাখ ৭৯ হাজার, ৭৪ সালে তা ছিয়ানব্বই লাখ অতিক্রম করে।</p> <p dir="ltr">উল্লেখ্য, ফেসবুকে প্রায়শ হিন্দুরা দাবি করে যে ৩০ লাখ নিহতের মধ্যে ২৪ লাখ নাকি হিন্দু ছিল! এখন চব্বিশ লাখ হিন্দুই যদি মরত, তাহলে চুয়াত্তর সালের গণনায় এই বাড়তি ৩ লাখ হিন্দু কোথা থেকে আসল? একটি গল্পে পড়েছিলাম, রাধুনী নিজে ১ কেজি গোশত খেয়ে দাবি করল বিড়ালে তা খেয়ে ফেলেছে। পরে বিড়ালটি ওজন করে দেখা গেল তার ওজনও ঠিক ১ কেজি, সেক্ষেত্রে তার খাওয়া গোশত কোথায় গেল?</p> <p dir="ltr">সুতরাং পাঠকেরা বুঝতে পারছেন যে, হিন্দুদের সংখ্যা এদেশে কয়েক লাখ তো দূরে, কয়েক হাজার হলে সেটাই বরঞ্চ গোটা দুনিয়ার নিয়ম অনুযায়ী স্বাভাবিক হত। কিন্তু বাংলাদেশে তার বাত্যয় ঘটেছে, কারণ হিন্দুরা বুঝতে পেরেছিল যে এমন একটি দেশের সৃষ্টি হতে যাচ্ছে, যেখানে প্রকাশ্য দেশদ্রোহিতায় লিপ্ত হলে হিন্দু পরিচয়ের কারণে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত নতজানু হবে, হিন্দু পরিচয়ের কারণে বটতলার উকিলকে পর্যন্ত চীফ জাস্টিস বানিয়ে দেয়া হবে আর মুসলমান শিশুদের হরে কৃষ্ণ বলিয়ে প্রসাদ খাওয়ালেও একটা হিন্দুর মরামুখও কোনো অথর্ব অছাম্প্রদায়িক মুসলমান নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে না।</p>

প্রিয়া সাহাদের শতকরা হিসাবের পরিসংখ্যানগত মিথ্যাচার ও সংখ্যাগত তুলনার দ্বারা এর জবাব

৪৭ এ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে কেন্দ্র করে দুটি ধর্মীয় জাতিরাষ্ট্রের বিষবৃক্ষ রোপিত হয়েছিল, একটি হলো ইসরায়েল, অপরটি ভারত। ইসরায়েল তার জন্মের শুরু...

Read more »